শহরে যানজটের মূল কারণ অবৈধ পার্কিং
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ২ জুন ২০২১ বুধবার
হকার উচ্ছেদের পরও শহরে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টার নষ্ট হচ্ছে সময়। শহরে যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং। নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ মানুষের ধারণা এটাই। এই অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। প্রায়ই সময়ে অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে যানবাহনকে অর্থদন্ড ও মামলা দেওয়া হয়। কিন্ত এতো অভিযান চালানোর পরও কমছে না অবৈধ পার্কিং।
অবৈধ পার্কিং এর মূলেই হচ্ছে শহরের মার্কেট গুলোতে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা। শহরের বিভিন্ন মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, সিএনজি অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। অধিকাংশ মার্কেটে কার পার্কিং সুবিধা না থাকায় পুরো শহরজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। নগরীর ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু সড়ক। এই সড়কটি প্রায় সম্পূর্ণটাই রয়েছে অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সড়কের সমবায় মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা দাঁড় করানো আছে। চালকেরা যাত্রী ডাকছে। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ট্রাফিক পুলিশ কিন্তু কিছুই বলছে না অটোরিকশা চালকদের। অটোরিকশাগুলোর একটু সামনেই দুটো প্রাইভেট কার পার্ক করানো অবস্থায় দেখা যায়। সমবায় মার্কেটের একটুৃ সামনে খাজা সুুপার মার্কেটের সামনে রয়েছে অবৈধ লেগুনা স্ট্যান্ড। সমবায় মার্কেটের ঠিক উল্টোপাশে রয়েছে মার্ক টাওয়ার ও হক প্লাজা। দুটো মার্কেটের সামনেই ‘নো পার্কিং’ এর সাইনবোর্ড লাগানো আছে। কিন্তু এটিকে থোড়াই কেয়ার করে, ওই সাইনবোর্ড ঘেঁষেই গাড়ি পার্ক করে রাখা আছে। যদিও দুটি মার্কেটেই রয়েছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
হক প্লাজা থেকে একটু সামনে এগিয়ে গেলে পপুলার থেকে শুরু করে নূর মসজিদ পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তাটাই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। রাস্তার উপরে ফুটপাতে মোটর সাইকেলের সারি শারি পার্কিং। গাড়ি আবার ফুটপাতের উপরে তুলে রাখা আছে। বঙ্গবন্ধু সড়কের দুইদিকের ডিআইটির প্রতিটি মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা আছে গাড়ি। দুই লেনের রাস্তা একটি লেনের পুরোটাই দখল করে রেখেছে অবৈধ পার্কিং। দেড় কিলোমিটারের বঙ্গবন্ধু সড়কে হাতে গোনা কয়েকটি মার্কেট ছাড়া কোন মার্কেটেই নেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ডিআইটিতে বহুতল ভবন টোকিও প্লাাজাতেও রাখা হয়নি কোন পার্কিং ব্যবস্থা। আবার যে কয়টি মার্কেটে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে সেগুলোরও যথাযথ ব্যবহার হয় না ।
পুরো বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘুরে দেখা গেলো, রাস্তাজুড়ে অবৈধভাবে পার্ক করা গাড়ির সংখ্যা একশ ছাড়িয়েছে। শুধু রাস্তা নয়, যে মুক্ত ফুটপাতের জন্য শহরের সব হকারকে উচ্ছেদ করা হলো সেই ফুটপাত জুড়ে মোটর সাইকেল পার্কিং করা রয়েছে। হকার না থাকাতে আরো সুবিধাই হয়েছে তাদের। পুরো ফুটপাত ফাঁকা পেয়ে মোটর সাইকেল রেখে দিয়েছে। ভুলবশতঃ মনে হতে পারে, এটা ফুটপাত নয় যেন মোটর সাইকেলের শো-রুম।