মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সোহরাওয়ার্দী সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ!

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ৬ জুন ২০২১ রোববার

নারায়ণগঞ্জ শহরের দুইনং রেলগেট থেকে পূর্ব দিকে সোজা কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনালের দিকে চলে গেছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাতায়তের জন্য নগরবাসী এই সড়কটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে। এছাড়া এই সড়ক দিয়েই নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসগুলো বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু যত্রতত্র বাস কাউন্টার, চালকদের অদক্ষতা ও ট্রাফিক পুলিশের পর্যাপ্ত নজরদারী না থাকায়, এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে।

 

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর উপকন্ঠে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী সড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু রোড দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে বন্ধন, উৎসব ও বিআরটিসিসহ বহু যাত্রীবাহী বাস। এ সময় চোখে পড়ে ছোট্ট এই রাস্তার মধ্যেও একে অন্যকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছে অদক্ষ বাস চালকরা। ফলে একটু পরপরই বিশৃঙ্খলা তৈরী হচ্ছে পুরো সড়কজুড়ে। সেইসঙ্গে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের অনুমতি না থাকা সত্তে¡ও এই সড়কের পাশে ভাসমান একাধিক বাস কাউন্টার বসানো হয়েছে। তাই যাত্রীবাহী বাসগুলো একটু পরপর যাত্রী নিতে এসব কাউন্টারের সামনে থামায় অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এ সময় নগরীর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট গেলে থাকার পরও, তা নিয়ন্ত্রণে সেখানে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ।    

 


সোহরাওয়ার্দী সড়ক দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাতায়ত করে বন্দরের শামীম মিয়া। ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাকে প্রতিদিন ব্যবসার কাজে এই পারে (মূল শহর) আসতে হয়। কিন্তু যানজটের জন্য সেন্ট্রাল ঘাট থেকে ২নং রেলগেট এলাকায় আসতে অনেক কষ্ট হয়। দিগুবাবু বাজারের সামনে অর্ধেক রাস্তা দখল করে রাখে রিক্সা চালকরা। পাশাপাশি বোস কেবিনের একটু সামনে সিএনজির স্ট্যান্ড বসিয়েও রাস্তার অনেকটা জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। তাই আমাদের ৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে আধা ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। মূলত এ পথে আমাদের যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।  

 

এদিকে মোহাম্মদ মনির নামে এক ব্যক্তি বলেন, মাঝেমধ্যে বাস চালকরা এই রাস্তার মধ্যেও প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়। রিক্সা চালকরাও তাদের চেয়ে কম নয়। এদের বিশৃঙ্খলার করণেই এই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। আর এটা সামাল দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ এখানে নেই। অথবা থাকলেও তারা নজর দিচ্ছেনা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সোহরাওয়ার্দী সড়কের যানজটের সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা। তাই আমি মনে করি দ্রুতই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ্যকে এই সমস্যাটি নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়কের পাশে অবস্থিত এক মিষ্টির দোকানের মালিক বলেন,   বিআরটিসিসহ বিভিন্ন বাস কোম্পানীর মালিকরা এখানে সড়কের পাশে কাউন্টার বসিয়ে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছে। কিন্তু এদের সাথে প্রভাবশালীদের হাত থাকায় প্রশাসনও কিছু করতে পারছেনা।

 

দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজ্জামান বলেন, এই সড়কটিতে মাঝেমধ্যে যানজট হয় সেটা আমাও জানি। তারপরও আপনারা যেহেতু বলেছেন, তাহলে আগে দেখি তারপর দ্রæতই একটা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সালেহউদ্দিনকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।