দুঃসময়ে মানুষের পাশে নেই কুতুবপুরের জনপ্রতিনিধিরা
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ২৭ জুন ২০২১ রোববার
মানুষের সেবা করার শপথ করে জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন জনপ্রতিনিধি হওয়ার বাসনা থাকা ব্যক্তিরা। কথা দেন সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন তাদের। নির্বাচিত না হতে পারলেও জনগণের সেবা করে যাবেন বলেও অনেকে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব নির্বাচন স্থগিত হাওয়ার পর এক রকম গা-ঢাকা দিয়েছেন সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের অর্ধশতাধিক চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরা।
করোনার ও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মতো মহাদুর্যোগে তাদের দেখা পাচ্ছেন না জনগণ। চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে সদর উপজেলার কুতুবপুরেরর নিম্নআয়ের মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ নেই, খাবার নেই, ডায়রিয়ার ওষুধ নেই, ঘরবন্দি সবাই। এতোসব নেই এর সুরাহা দিতে এখন আর কেউ জনগণের দরজায় কড়া নাড়ছেন না। চরম বিপাকে পড়া মানুষগুলো এখন জনপ্রতিনিধিদের দেখা না পেয়ে চরম ক্ষুব্ধ। এভাবে জনগণকে বিপদে রেখে নিজেদের প্রাণ ও অর্থ বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকায় জনপ্রতিনিধির বাসনা নেওয়া ব্যক্তিদেরর নিয়েও তীব্র ক্ষোভ ঝাড়ছেন জনগণ এবং ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থকরাও। নির্বাচন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রচারণায় প্রার্থীরা লাখ লাখ টাকা পানির মতো খরচ করলেও এমন সর্বাত্মক লকডাউন।
অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় ঘরবন্দী হয়ে পরা মানুষের পাশে কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার বা সংরক্ষিত সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা জনগণের পাশে এসে এক ছটাক চাল নিয়ে দাঁড়িয়েছে এমন খবর শোনা যায়নি। জানা যায়, সদর উপজেলার কুতুবপুরে ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিতো দূরের কথা এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের কাউকে এই লকডাউন ও জলাবদ্ধতার দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশে ধারাতেই দেখা যায়নি। এদিকে চলমান লকডউন আরও বৃদ্ধি করায় ওই ইউনিয়নের নিম্নআয়ের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
কুতুবপুর ইউনিয়নের আদর্শ নগরের দরিদ্র আব্দুল কুদ্দুস জানান, নির্বাচনের প্রচারণার সময় অনেকেই তার কাছে ভোট চাইতে এসেছেন। নির্বাচন বন্ধ। ঘরে ভাত না থাকার মতো। এখন কোনো প্রার্থী খোঁজ নিতে আসছেন না। পাগলা রসুলপুর এলাকার ইদ্রিস আলী জানান, কোনো চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থী খোঁজনেন না। আমরা কেমন আছি এ করোনা ও জলাবদ্ধতার মধ্যে, খেয়ে আছি নাকি না খেয়ে আছি। কুতুবপুরের নিশ্চিতপুর এলাকার দিনমজুর রমিজ উদ্দিন জানান, যখন ভোট আসে তখন এই দল সেই দলের অনেক প্রার্থী ভোট চাইতে আসেন। নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কেউ আসেন না। আমাদের খোঁজও কেউ নেন না। আবার ভোট আসুক তারপর দেখব।