ব্যক্তিগত গাড়ি-রিকশার দখলে সড়ক
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ২৯ জুন ২০২১ মঙ্গলবার
হঠাৎ করে আবারও দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি। সরকার ঘোষিত তিন দিনের সীমিত পরিসরে লকডাউন। প্রথম দিনে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ রিকশার আধিক্য ছিলো শহরজুড়ে। গণপরিবহন না থাকায় সড়কে রাজত্ব করছে রিকশা। সঙ্গে গণপরিবহন না থাকা ও রিকশাচালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে চরম বিপাকে পড়েন অফিসগামী ও সাধারন মানুষ। ব্যক্তিগত গাড়ি-রিকশার দখলে সড়ক, পথে পথে সাধারন মানুষের ভোগান্তি।
সোমবার (২৮ জুন) শহরের চাষাঢ়া চত্বর, দুই নং রেল গেইট, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এসব সড়কে রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও পরিমাণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে আধিক্য ছিল রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির। এদিকে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকার মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা থাকলেও লকডাউনে শহরে অসংখ্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যায়।
এর ফলে শহরে মাঝে মাঝে যানজট সৃষ্টি হয়েছিলো। শহরের চাষাঢ়া মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কয়েকটি পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল ঘরের বাইরে আসা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে পুলিশকে। আর নিষিধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ায় গুনতে হয়েছে জরিমানা । এসকল যানবাহনকে জরিমানা করে রাস্তায় না বের হওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (প্রশাসন) টিআই কামরুল ইসলাম বেগ বলেন, সকালে থেকেই শহরে ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি অফিসগামী মানুষের চাপও বাড়তে থাকে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তার বের হওয়ায় বেশ কয়েকটি যানবাহনকে জরিমানা করা হয়। আর রাস্তার না বের হওয়ার শর্তে সর্তক করে বেশকিছু যানবাহনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে গণপরিবহন না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অফিসগামীসহ সাধারন মানুষকে। গন্তব্যস্থলে যেতে তাদের একমাত্র ভরসা ছিল রিকশা। আর সুযোগ বুঝে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। আর সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মীকে আনার কথা থাকলেও বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তা মানেনি। আর এ কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাজিব উদ্দিন বলেন, গণপরিবহন বন্ধ রাস্তা অন্যান্য যানবাহন না থাকায় রিকশার ভাড়া দিগুন। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা পাওয়া যাচ্ছে না। আর এতো পথ তো আর পাঁয়ে হেটেও যাওয়া সম্ভব নয়। গতকাল অফিস শেষ করে আসার সময় বস বলছেন, অফিসে না আসলেও চলবে। কিন্তু সকালে ফোন দিয়ে বললেন, অফিসে আস্তে হবে, এ হলো অবস্থা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই সময়ে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে পণ্যবাহী যানবাহন এবং রিকশা চলাচল করবে।