মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গণপরিবহন বন্ধ, যাত্রীদের পকেট কাটছে বিকল্প পরিবহন 

মো. আরিফ হোসেন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ পিএম, ২৯ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমাতে গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রেখে এবং অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে গোটা দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। গনপরিবহন বন্ধ থাকায় এ সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়ায় দুর-দুরান্তে যাত্রী নিয়ে ছুটছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং এম্বুল্যান্স। লকডাউনের প্রথম দিনে সোমবার সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যস্ততম সাইনবোর্ড এবং শিমরাইল চিটাগাংরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

গতকাল সোমবার সকাল থেকে ঘুরে সাইবোর্ড এবং চিটাগাংরোড এলাকায় দেখা যায়, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকল ধরনের দুরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে পথচারীরা রিক্সা, অটোরিক্সা এবং মটরসাইকেলে করে গন্তব্যে ছুটছে। এর পাশাপাশি মহাসড়কে চলছে প্রাইভেটকার এবং মাইক্রোবাস। যার অধিকাংশই দুর-দুরান্তের যাত্রী নিয়ে ছুটছে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে।

 

সকাল থেকে দেখা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে চিটাগাংরোড এবং সাইবোর্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বিভিন্ন গণপরিবহনের কাউন্টারগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ডেকে ডেকে যাত্রী তোলা হচ্ছে প্রাইভেটকার এবং মাইক্রোতে। যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া পাওয়ায় সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এম্বুল্যান্স চালকরাও যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে দুরপাল্লায়।

 

লক্ষীপুরের এক যাত্রী জানায়, কাউন্টারের লোক এক হাজার টাকা ভাড়া চেয়েছে। পরে ৮’শ টাকায় তাকে লক্ষীপুর নিতে রাজি হয়। সকাল থেকে এভাবেই বেশি ভাড়ার বিনিময়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এদিকে যাত্রীদের ডেকে গাড়িতে তোলা এবং ভাড়া নির্ধারন কাজগুলো পরিচালনা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার এজেন্ট ও মালিকদের।

 

জানা যায়, এ কাজে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া ভাড়ার একটা অংশ পায় তারা। তবে যাত্রী বহনের ঘটনা চোখে পড়লে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের (কাঁচপুর) ওসি মনিরুজ্জামান।