মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হকারদের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুটপাতে চলাচল অসম্ভব

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৪১ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার

নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত আবারও হকারদের দখলে। গতকাল বিকেলে চাষাঢ়া, কালীরবাজারসহ বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে হকার বসতে দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, হকাররা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতে জুতা, জামা-কাপড়, বাচ্চাদের খেলনা সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বসে। বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাড়া সোনালি ব্যাংকের সামনে থেকে মুক্তি জেনারেল হাসপাতাল ও সাধু পৌলের গির্জা পর্যন্ত ফুটপাত হকারদের দখলে।

 

সড়কের অপর পাশে চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে শুরু করে প্রেস ক্লাবের মোড়, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গলাচিপার মোড় ও উকিল পাড়া মোড় পর্যন্ত ফুটপাত হকারদের দখলে থাকে। তাছাড়া ২নং রেল গেট থেকে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাতও হকারদের দখলে। ফুটপাত হকারদের দখলের কারনে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হয় বলে জানা যায়।


 
খানপুর এলাকার বাসিন্দা কালাম মিয়া নামে একজন পথচারী জানান, আমি ২নং রেল গেট এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করি, প্রতিদিন আমি সকাল ৯টা বাজে কাজে যাই আর রাত ৮টা বাজে কাজ থেকে বাসায়। সকাল বেলা সড়কের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গেলেও রাতে ফেরার সময় ফুটপাত দিয়ে আসা যায়না। রাস্তার ফুটপাতের দুই পাশে হকাররা দোকান নিয়ে বসে তার মাঝে ২-৩ ফুট জায়গা থাকে কিন্তু সেই জায়গা দিয়ে একজন আসলে আর এক জন যাওয়া যায় না, এক জনের সাথে আর একজনের ধাক্কা লাগে, এমনিতেই করোনা, সরকার বলেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার জন্য কিন্তু হকারদের দোকানের কারনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। চলাচল করতে আমাদের মত পথচারীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে একজন হকার জানান, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আমরা ফুটপাতে বসি, পুলিশ আসলে রাস্তার মাঝে চলে যাই। আবার পুলিশ গেলে আগের স্থানে এসে দোকান বসায়। আমাদের হকার নেতারা প্রতিদিন পুলিশের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয় কিন্তু পুলিশ এসে মাঝে মধ্যে আমাদের উঠিয়ে দেয়।

 

এ বিষয়ে সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান বলেন,  আমি সারা দিন সড়কে ছিলাম কোন হকার আমি বঙ্গবন্ধু সড়কে বসতে দেইনি , কিন্তু ডিউটি পুলিশ বদলী সময় হকাররা আবার বসেছে। আমি যতদিন আছি বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসতে দেবনা।