মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিধিনিষেধ শিথিলের সাথে সাথে উধাও স্বাস্থ্যবিধি

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৪৮ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার

করোনার ডেলটা ধরণের দাপটে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর তালিকায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। একটানা প্রায় দুই সপ্তাহ দেশে প্রতিদিন এই তালিকায় দুইশতরও বেশী লোকের নাম যোগ হয়েছে। এখনো প্রতিদিন যোগ হওয়ার তালিকায় থাকছে শতকের উপরে নামের তালিকা। কিন্তু দেশে করোনা থাকলেও বিধিনিষেধ শিথিলের সাথে সাথে উধাও হয়ে গেছে সবধরণের স্বাস্থ্যবিধি।

 

শহর, বন্দর, গ্রামের অলিগলি, রাস্তাঘাট, দোকানপাটসহ সর্বক্ষেত্রেই এই উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। শহররের সেন্ট্রাল গুদারাঘাট, ৫নং খেয়াঘাট, বরফকল খেয়াঘাট, নবীগঞ্জ খেয়াঘাটসহ শহরের বিপনি বিতানে লোকজনের মহাসমাগমের সাথে সাথে চাষাঢ়া থেকে ডিআইটি, নবাব সিরাজউদৌল্যা সড়কের কালীরবাজার, দ্বিগুবাবুর বাজার এলাকা, শায়েস্তা খান সড়কসহ প্রত্যেকটি জায়গায় মানুষের অবাদ ও উদাসীন চলাচল। ছোট ছোট গণপরিবহনগুলোতে চলাচলে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩৯৯জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫জন। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনের সোমবারের দেয়া তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জে সোমবার নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছে ২জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৯৬জন। এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৩শত নয় জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ২শত ৪৩জন। অথচ এক সময় করোনায় রেডজোন খ্যাত নারায়ণগঞ্জ এর মানুষেরে মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন লক্ষণ নেই।

 

এখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাতো দুরের কথা ন্যুনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দায়ও যেনো নাই কারো। বেশীরভাগ মানুষই মাস্কবিহীন, যাদের মুখে মাস্ক আছে তাদেরও শতকরা আশিভাগ লোকের মাস্কই থুতনি, কানে ঝুলানো, কিংবা পকেটে পুড়ে রাখা। বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বললে, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অদ্ভুদ যুক্তি শোনা যায়। দেড় দুই বছরের বাচ্চা কোলে ও ৫ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার এলাকার নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনের ফুটপাতে কেনাকাটা করছেন আসমা আক্তার। তাদের কারো মুখে মাস্ক নাই।

 

এ সময় আসমা জানান, বন্দর থেকে তিনি এখানকার ফুটপাতে বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছেন। মুখে মাস্ক নাই কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আপনি জানে না ? এখনতো করোনা নাই, সব কিছু খোলা, তাছাড়া বাসায় সবাই সাবান দিয়ে হাত ধুই। করোনা হবে না। এই বলে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হাটতে শুরু করেন। শহরের সেন্ট্রাল গুদারাঘাটে হোসিয়ারী ও গার্মেন্টস কর্মীদের দেখা যায়, দলবেঁধে মাস্ক ছাড়া চলাচল করছেন। মাস্ক পড়েনি কেন জিজ্ঞেস করতেই তারা হেসেই উড়িয়ে দেন। যেন তাদের কোন মজার প্রশ্ন করা হয়েছে।


 
শহরের বিপনি বিতানগুলো ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়। সেখানে ক্রেতা বিক্রেতা কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন আগ্রহ নেই। তাদের যুক্তি মাস্ক মুখে বেশী সময় রাখতে অসুবিধা হয়। আবারো কেউ মাস্ক ভুলে রেখে এসেছেন। অনেকেই আবার বলেন, যে সময় দরকার হয়, কাছে মানুষ আসে তখন আমরা ঠিকই মাস্ক ব্যবহার করি।