নাসিক ২৫নং ওয়ার্ডে মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি ড্রেন ও রাস্তা
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
বন্দরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের বাগবাড়ী এলাকায় ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ কাজের ধীরগতি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। প্রকল্পের মেয়াদের সময় শেষ হলেও অবহেলায় কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে নিম্ন মানের বালু, রড, পাথর দিয়ে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ড্রেন নির্মাণ কাজের তাগিতে সড়কের মাটি কেটে ফেলায় স্থানীয়দের চলাচলের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি সব জানে নাসিক প্রকৌশলী।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখনো তা শেষ করতে পারেনি। যখন নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন ভেবেছিলাম বৃষ্টির পানি আর রাস্তায় জমবে না। আমাদের চলাচলের অনেক সুবিধা হবে। ড্রেন নির্মাণ হলে রাস্তায় আর বৃষ্টির পানি জমে থাকবেনা। মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হবে। তবে ড্রেন নির্মাণ করতে যে পরিমাণ সময় নেওয়া হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। ড্রেন নির্মাণের ধীরগতি আর অতিবৃষ্টি এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতাও। ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ নানা অনিয়মের অভিযোগ করে স্থানীয় আরও বলেন, ড্রেন ও সড়ক নির্মাণের প্রত্যাশা দীর্ঘদিন ধরে লালন করে আসছে এলাকাবাসী। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা ও ড্রেন নিম্ন মানের বালু, রড, পাথর নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। নাসিক মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
এদিকে, ছোট একটি এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে করায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের যত্রতত্রভাবে যেখানে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী মালামাল রাখা, ড্রেন নির্মাণের আশোপাশে চলাচলের ব্যবস্থা না করে কাজ করা, নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি ফেলে রাখা, সঠিক পরিকল্পনা না করে ড্রেন নির্মাণ এবং এ কাজে ধীরগতির ফলে ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা । দেখার যেনো কেউ নেই। তবে রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে এ ভোগান্তি নিরসনের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এবিষয়ে নাসিক ( ২৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনের কাজের দায়িত্বে থাকা) সহকারী প্রকৌশলী হাসান যুগের চিন্তাকে বলেন, ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ কাজ ছয় মাস মেয়াদি। আর যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ড্রেন ও রাস্তার কাজ সমাপ্ত করতে হবে। তা নাহলে সংক্ষিপ্ত ঠিকাদার কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও জরিমানা করা হবে। আর ঠিকাদার কোম্পানিকে কোন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, নিম্ন মানের রড, সিমেন্ট ও পাথর ব্যবহারের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আর যদি নিম্ন মানের রড, সিমেন্ট ও পাথর দিয়ে রাস্তা ও ড্রেনের কাজ করা হয় তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর.ডি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মহানন্দ দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। তিনি জানান, দরপত্রের শর্তানুসারে সব কাজ করা হচ্ছে। ড্রেনের কাজ শেষ পয়ার্যে। রাস্তায় ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলা হচ্ছে। ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আরও এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।