মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডিম ও মুরগির বাজার অস্থির

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ডিম, ব্রয়লার মুরগির কক মুরগির বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ডিমের হালিতে দুই টাকাবেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতএক মাসে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। 

 

অন্যদিকে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কক মুরগির দাম। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। বাজার ঘুরে দেখাগেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যেতে সয়লাব। কোন কিছুর সরবরাহর কমতি নেই। আলু, পটল, বেগুন, বরবটি, কাকরল, কচুর গাটি, ডাটাশাক, করল্লা, উস্তা টমেটো, কুমড়া, ঢেঁড়শ, পেঁপে, শীতকালীন সবজি সীম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, জলপাইসহ নানা ধরণের শাক-সবজি। তবে শীত কালীন কিছু সবজি বাজারে এলেও দাম উর্দূমুখি। শীত কালীন সবজি সীম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


শহরের দ্বিগবাবুর বাজারে কথা হয় ক্রেতা আলী হোসেন মিয়ার সাথে। তিনি জানান, সপ্তাহে দুই দিন বাজার করেন। গত সপ্তায় প্রতিকেজি ব্রয়লার মুড়গি বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। এখন এই মুড়গির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। লাগামহীন ভাবে বাড়ছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। জিনিষ পত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে আমাদেরতো আয় বাড়েনি। ৩৫ টাকার ডিমের হালি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি ও কক মুরগি’র দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। বর্তমানে কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। 


মুরগি ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন জানান, করোনাভাইরাসের কারণে বিয়ে, সুন্নতেখতনাসহ অনেক অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে আশায় এসব অনুষ্ঠান সবাই করছে। তাই কক মুরগির উপর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া কক লেয়ার ব্রয়রার মুরগি’র সরবরাহও কিছুটা কম থাকায় বাজার এখন কিছুটা চড়া । সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে গেলে দাম কমে আসবে।


অন্যদিকে  বাজার ঘুরে দেখাগেছে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৫০, ঝিঙ্গা ৪০, কাঁচা পেঁপে ৩০, দেশী ধনিয়া পাতা ২৫০, লাউ মাজারী ৬০, শশা চিকন ৬০, শিম ১২০, ছোট লেবু প্রতি হালী ২৪, বড় সাইজ ৪৮, চাল কুমড়া পিছ ২০, করল্লা ৫০, বরবটি ৬০, বেগুন ৪০, পটল ৪০, পুঁইশাক ৩০, লালশাক ৩০, উত্তা ৬০ ঢেড়স ৪০ গাজর ৮০ মুলা ৪০ টমেটো ১০০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।


তবে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। স্বাভাবিক রয়েছে পেঁয়াজ দাম। ডিম ও ব্রয়লার মুরগির বাজার অস্থির হয়ে উঠায় জনজীবনে বাড়ছে অস্থিরতা। কারন যে কোন সময় যে কোন পণ্যের দাম বেড়েয়েতে পাওে এমনটাই মনে করছে সাধারণ মানুষ। তবে ভুক্তভোগীরা মনে করেন সরকার বাজার মনিটরিং না করায় আজ বাজারের এ অবস্থা। ইচ্ছে মতো ব্যাবসায়ীরা দাম  বাড়াচ্ছে।