মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতলক্ষ্যার পাড় যেন ময়লার ভাগাড়!

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:০০ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

নারায়গণঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৫নং ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ঘাটের রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবজর্না। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, এ যেন ময়লার ভাগাড় ! বৃষ্টি এলে এসব ময়লা-আবর্জনা গিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে মিশছে।  যার ফলে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা নদীর সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ঘাট থেকে  কুতুবপুর ঘাট হয়ে আশপাশের আরো কয়েকটি এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য নদীপথে নৌকাই তাদের একমাত্র বাহন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের যাবতীয় মালামাল আনা-নেওয়া করা হয় নৌকায়। খেয়াঘাটের পাশ্ববর্তী রাস্তায় ফেলা ময়লার দুর্গন্ধ এবং নদী দূষণের কারণে নদীপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা।



সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল বলেন, এক সময় আমরা বন্ধুরা মিলে এই খেয়া ঘাটের পাশে বসে আড্ডা দিতাম, গল্প করতাম। এখন ময়লার দুর্গন্ধে বসতে পারি না।



তিনি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের লোকজন তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য বাজারের সকল বর্জ্য এই খেয়াঘাটেই ফেলে। এতে যেমনি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়া, দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।


রোজিনা বেগম নামে এক গার্মেন্টস কর্মী জানান, অফিস শেষ করে বাড়ি যাওয়ার সময় নৌকায় যাত্রী পূর্ণ হওয়ার  অপেক্ষায় বসে থাকি কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধের কারণে বসে থাকাটা অনেক কষ্টকর,এ থেকে কবে যে আমরা মুক্তি পাবো তা জানি না।



খেয়াঘাটের মাঝি ফারুক মিয়া জানান, শীতলক্ষ্যা আর আগের মতো নাই। ময়লার দুর্গন্ধে বাজে অবস্থায় আছি। এই  দুর্গন্ধের কারনে আমরা মাঝিরা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছু। আর এখন যে অবস্থা নৌকা চালানো ছেঁড়ে দিতে হবে।



এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারের কয়েকজন দোকানদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার ঘাটের রাস্তার পাশে বর্জ্য ফেলার কথা অস্বীকার করেন।



এ বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জি.এম. সাদরিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আসলে আমার ওয়ার্ডে ময়লা অপসারণের জন্য কোন ডাম্পিং নেই। ময়লা অপসারণ করে সরানোর মত কোন যায়গাও নেই। বিষয়টি মেয়রকে জানানো হয়েছে তিনি দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমার ওয়ার্ডের ময়লাও ফেলতে হয় সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজের ঐদিকে। ঐদিকের ময়লা অপসারণ করলে আর আমাদের ময়লা ফেলার যায়গা থাকেনা।



তিনি জানান, আমি তবুও সকালে অভিযান চালাই রাতে বাজারের লোকজন ময়লা ফেলে রাখে। এখানে গরু বেধে রাখে আবার ময়লাও ফেলে। এখানে অস্থায়ী বাজার অপসারণ করে তিন তলা বাজার করা হবে। আশা করছি বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।