সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

১৪নং ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব!

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:৫৫ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২১ রোববার

# কাউন্সিলর শফিউদ্দিন ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ড ভৌগলিক কারণেই শহরের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। বৃহত্তর দেওভোগের নন্দীপাড়া, উকিলপাড়া ও পানির ট্যাংকি এলাকার বিশাল এক অংশ নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ড।

যেখানে প্রায় ১ হাজার ৫’শ টির মতো বাড়িতে বসবাস করে ৩০ হাজারেও বেশি মানুষ। তবে সড়কে ময়লার স্তুপ, বর্ষার অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা এবং রাতে অলি-গলির ছোট্ট সড়কে অপর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাসহ নানান কারণেই প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পরতে হয় এই ওয়ার্ডের অধীকাংশ বাসীন্দাকে। তবে এগুলো ছাড়াও এখন স্থানীয় বাসীন্দাদের মাঝে আরেক ভোগান্তীর নাম মশার উপদ্রপ। যা দিন দিন ভয়ের কারণ হয়ে উঠছে সকলের কাছে।


১৪ নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি এলাকার লোকজনের দাবি, মশার উপদ্রোপ কমাতে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় কাউন্সিলরের আদেশে বিভিন্ন জায়গায় মশার ঔষধ দেওয়া হয় ঠিকই কিন্তু তা-শুধুই লোক দেখানো। এই ঔষধে কাজের কাজ কিছুই হয়না, বরং মশার উপদ্রোপ আরো বেড়ে যায়! অন্যদিকে অনেকে বলছে, এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান এখন নির্বাচন নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তাই বিভিন্ন স্কুল কলেজের পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ যে, মশার যন্ত্রণায় ভোগান্তী পোহাচ্ছে সেটা আর এখন কাউন্সিলর সাহেবের নজরে পড়ছেনা।


দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মোক্তার মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া কুলসুম বেগম (গৃহিনী) বলেন, “আজকে বহুদিন ধরেই আমাদের ঘড়ের সবাই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। আগে দেখতাম এলাকার প্রতিটি বাড়ীর ভীতরে ঢুকে বড় মেশিন দিয়ে মশার ঔষধ দেওয়া হত, কিন্তু এখন বাইরে থেকেই কোনরকম দিয়ে চলে যায়। এতে মশা কমেনা। আমরা দিনের বেলাতেও ঘড়ে বসতে পারিনা। মশার কয়েল জ্বালাতে হয়। আর রাত হলেও তো কথাই নেই। ছেলে-মেয়রা পড়বে তো দূরের কথা এক জায়গাতে এক মিনিটও বসতে পারেনা। মশা পারলে তাঁদের উড়িঁয়ে নিয়েই চলে যায়”!  


ভোগান্তির কথা উল্ল্যেখ করে দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার অন্য এক বাসীন্দা রাসেল বলেন, “মশার ঔষধ যদি দিতেই হয় তাহলে ভালো ভাবেই দেওয়া উচিৎ। কিন্তু ইদানিং আমারা দেখেছি যে, সিটি করপোরেশন থেকে ফোকার মেশিন দিয়ে মশার ঔষধ দিতে এলে মেইন রাস্তার মধ্যে কিছুক্ষণ সেটা ছিঁটিয়ে তাঁরা চলে যায়। এতে মশা একটুও কমে না। মশা কমাতে হলে সিটি করপোরেশনের প্রতিটি এলাকার অলি-গলির মধ্যে গিয়ে ভালো ভাবে মশার ঔষধ ছিঁটাতে হবে।


তিনি আরো বলেন, আসলে মশার উপদ্রোপ কমবে কিভাবে? আমাদের কাউন্সিলর শফিউদ্দিন ভাইতো এখন তার নির্বাচন নিয়াই বেশি ব্যস্ত!
জানতে চাইলে নাসিকের ১৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে এখন আগের তুলনায় মশা একটু কম। শীতকাল হওয়াতে হয়তো মশা একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। অতি দ্রুতই মশার উপদ্রোপ কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষ্যেপ নেওয়া হবে।