শেষ পর্যন্ত জয় করা গেলো নিউজিল্যান্ড
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৫১ এএম, ৫ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার
আজ (বুধবার) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট ৮ উইকেটে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে এই প্রথম নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিউইদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে করা ব্যাটিং-বোলিংয়ে তৈরি হয়েছে ঐতিহাসিক জয়ের মঞ্চ।
৩২৮ রানে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৪৫৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়া। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের গুঁড়িয়ে দিয়ে ১৬৯ রানে অলআউট করে মাত্র ৪০ রানের লক্ষ্য পেলে জয়টা আসলে তখনই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল মুমিনুলদের। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মুমিনুল নিজে।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে টিম সাউদি শুরুতে একটু কাঁপন ধরালেও সেটি একেবারেই গায়ে লাগেনি। সাদমান ইসলাম (৩) দ্রুত ফেরার পর জয়ের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। কাইল জেমিসনের বলে স্লিপে রস টেলরের হাতে ধরা পড়ার আগে শান্ত ৪১ বলে ৩ বাউন্ডারি করেন ১৭ রান। এরপর মুশফিকের বাউন্ডারিতে আসে ঐতিহাসিক জয়ের মুহূর্ত। ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। আর মুমিনুল ১৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। আরও স্পষ্ট করে বললে এবাদত হোসেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ১৬৯ রানে অলআউট করে সফরকারীরা। ফলে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ঠিক হয়েছে ৪০ রানের।
আগের দিন শেষ বিকালে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দিয়েছিলেন এবাদত। আজ (বুধবার) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের শেষ দিনের শুরুতেও সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখেন ডানহাতি পেসার। দিনের শুরুতেই বোল্ড করে ফেরান অভিজ্ঞ রস টেলরকে। এখানেই থামলেন না, খানিক পর আউট করেন কাইল জেমিসনকে। এরপর শুরু তাসকিন আহমেদের দাপট।
বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবাদত। আগের দিনের ৪ উইকেট নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করে দ্বিতীয় বলেই ৫ উইকেট পূরণ করেন এই পেসার। অভিজ্ঞ টেলরকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেটের দেখা পান তিনি। যা ২০০৩ সালের পর প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে এই অর্জনের খাতায় নাম তোলেন এবাদত।
এবাদত একের পর এক উইকেট নিচ্ছেন, তাসকিনও যোগ দিলেন সেই উৎসবে। টেলরের সঙ্গে পঞ্চম দিন শুরু করা রাচিন রবীন্দ্রকে তুলে নিলেন তিনি। চমৎকার ডেলিভারিতে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ বানান কিউই ব্যাটারকে। ফেরার আগে ৪৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করেছেন তিনি।
তাসকিনের উইকেটের ক্ষুধা কমেনি। খানিক পর তুলে নেন টিম সাউদির উইকেট। ক্লিন বোল্ড করে কিউই ব্যাটারকে রানের খাতা খুলতে দেননি বাংলাদেশি পেসার। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ শেষটা মুড়ে দেন ট্রেন্ট বোল্টকে (৮) বদলি ফিল্ডার তাইজুল ইসলামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে।
বল হাতে দুর্দান্ত এবাদত ২১ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট। তাসকিন ১৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। আর মিরাজ ২২.৪ ওভারে ৪৩ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।