গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে নগরবাসী
স্টাফ রিপোর্টার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৩৮ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
# ঘোষণা ছাড়া এই গ্যাস সংকটে বিপাকে মানুষ
# খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের আভাস মেলেনি
নগরীতে কয়েকদিন ধরে বাসাবাড়ি ও গ্যাস নির্ভর কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে চরম সঙ্কট। গত কয়েকদিন ধরে নগরীর বেশীর ভাগ আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় গ্যাসের চুলা জ্বলেনি। দুপুরের পর গ্যাস এলেও মধ্যরাতের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। প্রেসার কমে যাওয়ায় কমে গেছে গ্যাসের প্রবাহ। এতে আবাসিক এলাকাসহ নগরী জুড়ে এখন গ্যাস সঙ্কট চলছে। দুপুরের পর ধীরেধীরে গ্যাস স্বাভাবিক হয় মধ্যেরাত পর্যন্ত। ফলে রান্নাবান্ন থেকে শুরু করে গ্যাস নির্ভর সব কিছুই দিনে বন্ধ থাকে। নগরীর বিভিন্ন পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক ভোরে উঠে রান্না করেন। কিন্তু ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চুলা না জ্বলায় তারা পড়েছেন সমস্যায়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে নগরীর খানপুর, ডনচেম্বার, দেওভোগ, বাবুরাইল, নলুয়াপাড়া, পাইকপাড়া, কাশিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। খানপুর এলাকার বাসিন্দা বিউটি ইসলাম মুনা অভিযোগ করেন, সকাল ৬টা থেকে তার বাসায় গ্যাস থাকে না। আসে দুপুর দেড়টা-দুইটার দিকে। এই সময়ে চুলায় গ্যাস একেরারেই থাকে না। ভাত রান্নতো দূরের কথা পানিও গরম কার যায় না। তিনি বলেন যেহেতু গ্যাস থাকেই না তাই বিকল্প উপায়ে রান্নার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এবার শীতে এই প্রথম গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্যবার এই সমস্যাটা শীত আসার আগে থেকেই দেখা দেয়।
কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা আসাদ মিয়া জানান, এবার শীতের মাঝ থেকে আবাসিক খাতে দেখা দিয়েছে গ্যাসের সমস্যা। দুপুরের পর চুলা জ্বলে নিভু নিভু করে। কিন্তু রান্না করা যায় না। কোন কোন এলাকায় দিনে একেবারেই গ্যাস থাকে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসাদ মিয়া আরো বলেন, তিনি পোশাক কারখানার শ্রমিক ভোরে উঠে ভাতসহ রান্নবান্নার কাজ সারতে হয়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে গ্যাস না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে গ্যাস সঙ্কটে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছেন গৃহিণীরা। গ্যাসের এই সমস্যা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাসে মাসে গ্যাসের বিল পরিশোধ করলেও সেবা মিলছে না। সাধারণত শীতে গ্যাসের সংকট বাড়ে। কিন্তু এবার অনেক বেশী এলাকায় গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এ সঙ্কট আরও তীব্র হবে বলে আশংকা রয়েছে। গ্যাস সংকট নিয়ে নগরীর অনেকেরেই কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। গ্যাসের নিম্মচাপের কারণে বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গৃহিণীরা।
জানা গেছে, আবাসিক খাতে গ্যাসের এ সঙ্কট থাকবেই সরকার শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার পর আবাসিক খাতে কাজ করবেন। তাই এবার আবাসিক খাতে গ্যাসের এ সঙ্কট রয়ে যাবে। শীত মৌসুম দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাসের আবাসিক সরবরাহের ঘটতি দেখা দেয় সব সময়। এবার সেই সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। ইতি মধ্যেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়ি গ্রহকদের কাছ থেকে ভোগান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে শিল্প কারখানায় অচল অবস্থারও আশংকা রয়েছে। এই সঙ্কটের ধাক্কা লাগতে পারে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতেও।
নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিভিশন এন্ড ট্রান্সমিশন এর ব্যবস্থাপকের মোবাইলে এই সমস্যার বিষয়ে জানতে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।