৩’শ শয্যায় করোনা টিকা নিতে চরম ভোগান্তি
স্টাফ রিপোর্টার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:২১ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার
# আউট সোসিং’র কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অবৈধ সুবিধা নেয়ার অভিযোগ
করোনা’র টিকা ও করোনা টেস্ট করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলে। এখানে রোগীর তুলনায় টিকার বুথ ও পরীক্ষা হচ্ছে নগণ্য। টিকা দিতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্খিত সেবা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে আগতরা। সপ্তাহ খানেক ধরে বাড়ছে সংক্রামণ। করোনা পরিস্থিতি আবার ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে করোনা’র টিকা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মানুষের ভীড় বাড়ছে হাসপাতালে। তাই ভোগান্তি এখনই অসহনীয় পর্যায়ে পোঁছেছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ক্রমেই টিকা নেয়ার মানুষের ভিড় বাড়ছে এই হাসপাতালে। সেই সাথে পাশাপাশি করোনা’র উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর টেস্টের লাইনও দীর্ঘ হচ্ছে। মহিলা পুরুষের আলাদা আলাদা লাইন। অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে অভিযোগ করেছেন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও টিকা নিতে পারছেন না অথচ অনেকে এসেই টিকা নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে লাইন ভেঙে এই সুবিধা নিচ্ছেন।
জানা গেছে, এই আউট সোসিংয়ে যারা এই হাসপাতালে কাজ করছেন। তারাই টাকার বিনিময়ে এই ধরণেরর কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। এছাড়া কিছু দালাল রয়েছে তারা আউট সোসিং এর লোকজনের সাথে আঁতাত করে লাইন ভেঙে অনেককে টিকা দেয়ার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছেন। অথচ অন্যারা কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে টিকা দিতে পারছেন না। এনিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কিছুই করার নেই।
অন্যদিকে সময়ের আগেই টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এমন অভিযোগ অনেকের। হাসপাতাল থেকে বলা হয় আগামী কাল আসেন। আজকে আর টিকা দেয়া হবে না। যারা পিছনে ছিলেন তারা যখন একেবারে সামনে চলে আসেন এ অবস্থায় পরে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
মো. শাকিল বৃহস্পতিবার তার বাবাকে নিয়ে এসেছিলেন টিকা দেয়ার জন্য। এক ঘন্টার বেশী তার বাবা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকা দেয়ার জন্য এরমধ্যে আউট সোসিং এর লোকজন তাদের আত্মীয় স্বজন পরিচয় দিয়ে একজন দুইজন করে ভিতরে ডেকে টিকা দিয়ে দিচ্ছেন। শকিল প্রতিবাদ করায় উল্টো তাকে ধমক হজম করতে হয়েছে। এমন অভিযোগ অনেকের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে, আউট সোসিং এ যারা এখানে কাজ করছেন অনেক আগেই তাদের কাজের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। এখন আর তারা এখান থেকে বেতন পান না। বিনা বেতনে তারা এই হাসপাতালে কাজ করছেন। তাই অনেকেই ধান্দায় জড়িয়ে পড়েছেন। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানলেও জনবল সংকটের কারণে নীরব আছেন।