সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবাসিক এলাকায় চরম গ্যাস সংকট সহজে সমাধান নেই

স্টাফ রিপোর্টার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ রোববার

# শীত কমে এলে স্বাভাবিক হয়ে আসবে : ডিজিএম গোলাম ফারুক

আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরীর বিভিন্ন মহল্লার বাসিন্দারা। অধিকাংশ এলাকায় কখনও চুলা জ্বলে, কখনও জ্বলে না। বেশীর ভাগ সময় দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। নিভু নিভু করে চুলা জ্বলে তবে রান্নাই করা যাচ্ছে না। এতে বাধ্য হয়ে অনেকে লাকড়ির চুলায় রান্না করছেন। কেউ আবার বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাস কিনে রান্নার ব্যবস্থা করছেন। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে গ্যাসের সংকট চরম আকার ধারণ করে। কিন্তু এর প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা করে না তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রান্সমিউশন কোম্পানি লিমিটেড। তবে গ্যাস বিল ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে। বাড়তি খরচ করতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা খুবই কষ্টকর।


শহরের খানপুর, নগর খানপুর, ব্যাংক কলোনী, ডন চেম্বার, মিশনপাড়া, চাষাড়া, দেওভোগ, বাবুরাইল, কাশিপুর, পাইকপাড়া, শহীদ নগর, নলুয়াপাড়া, ভুঁইয়ারবাগ, চাঁনমারী, ইসদাইর, মাসদাইর, পশ্চিম মাসদাইর, জামতলা প্রভৃতি এলাকায় গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বেশীর ভাগ আবাসিক এলকায় চলছে এই গ্যাসের তীব্র সংকট।


শহরের ডন চেম্বার এলাকার গৃহিণী লুৎফা বেগম বলেন “সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস একেবারে নিভুনিভু অবস্থায় থাকে”। কিন্তু কোন কিছু রান্না করা যায় না। গ্যাসের ডির্স্টাব গরমেও ছিল তবে এখনকার মতো না। দেওভোগ এলাকার বিউটি বেগম বলেন “দুপুর একটার পর আস্তে আস্তে গ্যাস বাড়তে থাকে তাতেও রান্না করা কষ্ট হয়ে পরে। বিকাল তিনটার পর স্বাভাবিক হয়ে আসে। ওই সময়টায় গ্যাস থাকলেও কাজে আসে না। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।


এদিকে গ্যাস সংকটের কারনে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে শিল্প প্রতিষ্ঠানেও। রাতের বেলায় গ্যাসের প্রেসার পাওয়া গেলেও দিনের বেলায় তেমন একটা প্রেসার পাওয়া যায় না। প্রেসার উঠানামা করার কারনে শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজের ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস ডাইংসহ স্পিনিং মিলগুলোতে উৎপাদন কমে এসেছে। গ্যাস সংকটের কারনে অনেকে ভোরে উঠে রান্নার কাজ করতে হচ্ছে। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।  


এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রান্সমিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম গোলাম ফারুক দৈনিক যুগের চিন্তাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এ মাস জুড়ে এই সমস্যাটা চলছে। তবে ৩/৪ দিন ধরে বেশী। শীতের কারণে কিছুটা এলএনজিতে সমস্যা হচ্ছে। সাপ্লাই দিতে পারছেনা। এই সমস্যা ঠিক হতে আগামী মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে শীত কমে এলে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।