সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চালের বাজারে চালবাজি

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:১৯ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

করোনার কারণে আয় কমেছে সাধারণ মানুষের। তবে থেমে নেই নিত্যপণ্যের দাম। চালের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ। নিতাইগঞ্জ থেকে ছবিটি তুলেছেন মেহেদি হাসান।

করোনার কারণে আয় কমেছে সাধারণ মানুষের। তবে থেমে নেই নিত্যপণ্যের দাম। চালের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ। নিতাইগঞ্জ থেকে ছবিটি তুলেছেন মেহেদি হাসান।

করেনার কারণে মানুষের আয়ের পথ কমলেও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। চতুর্মুখী এই বাড়তি খরচে দিশেহারার সাধারণ মানুষ। করোনার চোখ রাঙানিতে আবারও যখন হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ এর মাঝেই বাজারগুলোতে চাউলের দাম বেড়েই চলছে।

 

গত এক মাসের ব্যবধানে এই মাসে চাউলের বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজি প্রতি বেড়েছে ৩ থেকে  ৫টাকা। বাড়তি এই দাম বৃদ্ধিতে নেই কোন মনিটরিং। সাধারণ মানুষের নাভীশ্বাস উঠলেও যেন দেখার কেউ নেই।  


গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ এলাকায় পাইকারী চাউলের আড়ৎগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, নাজিরশাহ চাউল (৫০ কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা যা গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা। তবে সবচাইতে দাম বেশি বেড়েছে মিনিকেট চালের।

 

মিনিকেট চাউল (৫০কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ টাকা যা গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৯০০ টাকা। আটাশ চাউল (৫০কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকা যা গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ২ হজার ২৫০ টাকা। বাসমতি চাউল (৫০কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা যা গত মাসে বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৩০০ টাকা। স্বর্ণা চাউল (৫০কেজি) বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ টাকা ও গুটি স্বর্ণা চাউল ২০০০টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ চাউল আড়ৎদার মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শুভ রাইস এর মালিক শফিকুল ইসলাম লিটন জানান, এখন নতুন চাউল বাজারে আমদানি হচ্ছে, কিন্তু দেশের উত্তর বঙ্গের মিল মালিকেরা সেন্টিকেট করে চাউলের দাম বাড়াচ্ছে। মিল মালিকরা দাম না কমালে আমরা কীভাবে দাম কমাব।

 

তিনি আরও জানান, আমরা নিতাইগঞ্জে আড়ৎদাররা চাউল মজুদ করি না। আমাদের নিতাইগঞ্জে ব্যবসায়ীদের যে সব গোডাউন আছে তাতে ৫ হাজার বস্তার বেশি চাউল ধরে না।  এদিকে খুচরা বাজারে এলাকাগুলোতে চাউল বিক্রি হচ্ছে, নাজিরশাইল চাউল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট চাউল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, আটাশ চাউল ৫০টাকা কেজি, বাসমতি চাউল ৭৫ টাকা কেজি ও  স্বর্ণা চাউল ৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।