সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সন্তানকে দশ মাস গর্ভে রেখে জন্ম দিতেও এতো কষ্ট হয়নি’

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৪৫ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

# সচিবের আচরণ মানুষের মতো নয়, জানোয়ারের মতো
# চেয়ারম্যান কখন আসেন কখন যান তার ঠিক নেই


এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদে সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে এক নারীর মন্তব্য, যে সন্তানকে দশ মাস গর্ভে ধারণ করে তার পর তাকে জন্ম দিতে গিয়ে যে কষ্ট না পেয়েছি তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেলাম এই ইউনিয়নে সেই সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে এসে। গত বুধবার এমনই মন্তব্য করেন এনায়েতনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা এক নারী।

 

তিনি আরো বলেন, এই ইউনিয়নের সচিবের আচরন মানুষের মতো নয়, জানোয়ারের মতো। তার নাম দিদার হোসেন। সে মানুষকে মানুষই মনে করে না। আর চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান কখন আসেন কখন যান তারতো কোনো ঠিক ঠিকানাই নেই। এক কথায় জন্মনিবন্ধন করতে এসে আমরা সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছি।

 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মূলত এভাবেই এখন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন করতে এসে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছে মানুষ। তাই এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতি দিন এই ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের ভির লেগে থাকে। নানা অজুহাতে মানুষকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা খরচ করলে সহজেই জন্মনিবন্ধন হয়ে যায়।

 

এই ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এখন মানুষের মুখে মুখে। ফলে জন্মনিবন্ধন নিয়ে এলাকাবাসী চরম বিপাকে পরেছেন। তবে কোনো প্রভাবশালী লোকের সুপারিশ থাকলে আবার সাথে সাথেই জন্মনিবন্ধন হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এলাকার অধিকাংশ মানুষই নিরীহ।

 

আর এই নিরীহ মানুষেরা তাদের সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করতে এসে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। জন্মনিবন্ধন ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি নেয়া হয় না। তাই এখনই জেলা প্রশাসক যদি এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করেন তাহলে এনায়েতনগর ইউনিয়নের জনগনের ভোগান্তি আরো বাড়বে ছাড়া কমবে না বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।