সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা মানুষ

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

গত কয়েকদিন ধরে  বাজারগুলোতে বেড়েই চলছে নিত্যপণের দাম। দিন যত যাচ্ছে ততই নিত্যপণের দাম বেড়েই চলছে। পেঁয়াজ, তেল, সবজি, মাছ, মাংস, বাজারের কোন কিছুই যেন স্বস্তি দিচ্ছে না ক্রেতাদের।দিন দিন বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে এতে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো।

 

এদিকে বাজারের বিক্রেরা জানান, সামনে রমজান মাস আসছে দাম আরও বাড়তে পারে।গতকাল নারায়ণগঞ্জের পাইকারী দিগুবাবু বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০টাকা করে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি ও চায়না আদা ১০০ টাকা কেজি, রসুন দেশিটা ৪০ টাকা কেজি ও চায়নাটা ১২০  টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়াও গত কয়েক দিন ধরে তেলের দাম  লিটারে বেড়েছে  ৫  থেকে ৭ টাকা। বিক্রেতারা জানান, রমজান মাসকে সামনে রেখে দিন দিন তেলের দাম বাড়ছে, সামনে আরও তেলের দাম বাড়তে পারে। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা লিটার যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫৮ টাকা লিটার।

 

এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানীর বোতলের সয়াবিন তেলের দামও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীর কোম্পানীর ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৭৫ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৬৫ টাকা, রূপচাঁদা ৫ লিটার  ৭৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭৬০টাকা, বসুন্ধরা ৫ লিটার  ৭৫০ বা ৭৬০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭৩৫ টাকা। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি , মসরির ডাল বড় সাইজের ৯০ টাকা ও ছোট সাইজের ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


 এছাড়াও বাজারে শীত কালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। সবজি বিক্রেতারা জানান, শীত কাল চলে যাচ্ছে তাই শীতের সবজির দাম বাড়ছে। এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০টাকা, পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০টাকা পিস, শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। নতুন আলু প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ও এক পাল্লা (৫ কেজি) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

টমেটো বিক্রি হচ্ছে  ৩০ থেকে ৪০টাকা কেজি। বেন্ডি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, কালো বেগুন লম্বাটা ৬০ টাকা কেজি ও গোলটা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ও লেবু ছোট সাইজের ২০টাকা হালি ও বড় সাইজের ৪০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


 এছাড়াও বাজারে  কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা করে দাম বেড়েছে মুরগীর। মুরগী ব্যবসায়ীরা জানান মুরগীর অনেক চাহিদা, মুরগী পাওয়া যায় না তাই মুরগীর দাম বেশি। বাজারে ব্রয়লার মুরগী গত সপ্তাহে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে,  কক মুরগী  গত সপ্তাহে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , লাল লেয়ার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। তাছাড়াও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , বকরীর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


বাজার গুলোতে মাছের দাম চড়া, মাছ বিক্রেতারা জানান, নদীতে মাছ কম ধরা পারছে, তাই মাছের চাহিদা কম থাকার কারনে মাছের দাম বেশি। ইলিশ ছোট থেকে সাইজের বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি ও  মাঝারি থেকে বড় সাইজের ইলিশ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , রুই প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি  দরে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।