সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটপাত দখলে ঔষধ কোম্পানির হোন্ডা

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ১১ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ফুটপাত নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর আর হকারদের ব্যস্ততা। হকারদের সাথে যোগ হয়েছে শহরের ফুটপাতের রাস্তায় বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের সামনে ঔষধ কোম্পানির লোকজনের হোন্ডা পার্কিং করে ফুটপাত দখল। পাশা পাশি রাস্তা দখল করে রাখে বলে অভিযোগ করে পথচারিরা।

 

পথচারীরা ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় হাঁটবেন, সেখানেও একই অবস্থা। রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং সহ হকারদের ব্যবসা। এ যেন মা বাবহীন এক শহর দেখার যেন কেউ। তাদের এই হযবরল অবস্থায় প্রশাসনও নীরব হয়ে আছে। তারা দেখেও যেন না দেখার ভান করে আছে।

 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর চাষাঢ়া থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই পাশে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে এই ক্লিনিক গুলোর সামনে প্রতিদিন সকাল ১০ টার পর থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির লোকজন ফুটপাত দখল করে অবৈধ ভাবে হোন্ডা পার্কিং করে রাখে। তারা ফুটপাত দখল করে কিøনিক থেকে রোগি নামলেই তার প্রেসকিপশনের ছবি তোলার জন্য হোমরি খেয়ে পরেন।

 

তাদের ছবি তোলার কাড়াকাড়িতে অনেক রোগির অভিভাবকরা পর্যন্ত বিব্রত হয়ে যান। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চাষাঢ়া পপুলারের সামনে ফুটপাতে প্রায় ৪০ টি মোটর সাইকেল সাড়িবদ্ধ ভাবে অবৈধ ভাবে পার্কিং করে রাখে। তার একটু সামনে যেতেই মডার্ণ ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার,তার বিপরীতে রয়েছে মেডিনোভা সহ আরও কয়েকটি ক্লিনিক।

 

যে গুলোর সামনে রয়েছে এই মোটর সাইকেল গুলো, একমি, স্কয়ার সহ বড় বড় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির কর্মচারীরা ফুটপাত দখল করে রাখে। আর এতে করে নগরবাসি সহ পথচারিরা চলাচল করতে পারে না বলে অভিযো রয়েছে। সেই সাথে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্যবসাসামগ্রী আর হকারদের ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রতিদিনই হয়রানি পোহাচ্ছেন পথচারীরা।


একদিকে ফুটপাত দখল, অন্যদিকে রাস্তায়ও ঠিকভাবে হাঁটার অবস্থা নেই। ফুটপাত থেকে নামতেই রাস্তার পাশজুড়ে সারি সারি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সাইকেল আর মোটরসাইকেলের ভিড়। তখন আরও বিড়ম্বনা। এই শহরে যেন মানুষ এখন হেঁটে চলার রাস্তাও খুজে পাচ্ছে না। আর এর থেকে কবে নাগাত নগরবাসী স্বস্তি পাবে তা মানুষও জানে না।

 

 মাসদাইর থেকে আসা পথচারী রফিক জানান, শহরের ২ নম্বর রেলগেট থেকে চাষাঢ়া আসতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। হেটে আসতেও এত সময় লাগে না। আর হেটে চলাচল করার মত পরিবেশ ফুটপাতে নেই। এক দিকে ঔষধ কোম্পানির লোকজন হোন্ডা পার্কিং করে রাখে, অপর দিকে হোকাররা ছোট ছোট দোকান দিয়ে রাস্তার ফুটপাত দখল করে রাখায় মানুষকে এখন রোড দিয়ে চলাচল করতে হয়।

 

প্রশাসন বছরে নামকা ওয়াস্তে অভিযান পরিচালনা করে শেষ হয়ে যায়। এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক দায়িত্বরক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।