সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফতুল্লায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সাদ্দাম হোসেন শুভ

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ১১ মে ২০২২ বুধবার

জলাবদ্ধতা যেন ফতুল্লাবাসীর জন্য অভিশাপ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই সামান্য বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন অলিগলিতে হাঁটু পানি জমে যায়। আর এতে করে দুর্ভোগে পড়েন ফতুল্লায় বসবাসরত হাজার হাজার জনসাধারণ। বর্ষা আসার আগেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বর্ষা মৌসুমে ফতুল্লায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

 

জলাবদ্ধতা নিরসনে সদর উপজেলায় ইতিমধ্যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ধীরগতিতে চলা ডিএনডির এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দরকার আরো প্রায় কয়েক বছর। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের আশায় বসে না থেকে, কিভাবে মানুষকে কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

 

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, একদিনের বৃষ্টিপাতে ফতুল্লা রেলস্টেশন, তক্কার মাঠ, শিহারচর, পিলকুনী, আলীগঞ্জ, নন্দলালপুর, নয়ামাটি, চিতাশাল, দেলপাড়া, শাহী বাজার, রসুলপুর, নুরবাগ, কুসুমবাগ, নিশ্চিত পুর, আদর্শ নগর, দৌলতপুর, মুন্সীবাগ এলাকাসহ গোটা ফতুল্লা থানাজুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে পানি জমে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী।

 

অনেকের বাসার ভেতরে পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান আসবাবপত্র। এর জন্য বিভিন্ন ডোবা এবং নালা দখল ও অপরিকল্পিত আবাসনকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। হেপী আক্তার নাজমা নামে এক কলেজ ছাত্রী জানান, ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের সঙ্গী। স্কুল, কলেজে যাওয়ার সময় সড়কে পানি জমে থাকার কারণে আসা যাওয়া বিলম্ব হচ্ছে।

 

অনেকে আবার পানি পেরিয়ে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে চায় না। যারা লেখাপড়া করছেন তারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এখানকার জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান মেম্বাররা বর্ষা মৌসুমের আগে যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সরকারি খাল দখল সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতেন তাহলে কিছুটা হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতেন এখানকার বাসিন্দারা।

 

তারা কথায় আছে কাজে নাই। বর্ষা আসলেই দেখা মিলে তাদের। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে বক্তব্য দিতেও দেখা যায় এই জলাবদ্ধতা নিয়ে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আর জলাবদ্ধতা নিয়ে কারও কোনো মাথা ব্যাথা দেখা যায় না। তাদের পরিকল্পনার অভাবেই আমাদের এই নিত্যদিনের জলাবদ্ধতা।

 

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন জানান, ফতুল্লা এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমারা একটি মাস্টার প্লেন গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু জানান, কুতুবপুরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পরিকল্পিত ভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।