উঁচু নালা টপকে সড়কে উঠতে পারছে না যান
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড (চাষাঢ়া-সাইনবোর্ড) ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে পানিনিষ্কাশনের জন্য দুই পাশে উঁচু নালা তৈরি করা হয়েছে। এতে শতাধিক পার্শ্বরাস্তা (সাইড রোড) নালার তুলনায় তিন–চার ফুট নিচু হয়ে গেছে। উঁচু নালা ও তাতে অনেক জায়গায় পাটাতন না দেওয়ায় যানবাহন নিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ৮ কিলোমিটার সড়ক ৬ লেন করার কাজ শুরু হয়। আঞ্চলিক এই সড়কের পানিনিষ্কাশনের জন্য দুই পাশে তিন থেকে চার ফুট উঁচু আরসিসি নালা নির্মাণ করা হয়েছে। সওজ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের কাজ প্রায় ৪০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের দুই পাশে ছোট–বড় অসংখ্য শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকা। এসব শিল্পকারখানার পণ্যবাহী গাড়ি, ব্যক্তিগত যান প্রতিদিন পার্শ্বরাস্তা দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করত। উঁচু নালার কারণে পার্শ্বরাস্তা দিয়ে যানবাহন লিংক রোডে উঠতে পারছে না। কয়েকটি জায়গায় এসব রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় তা হয়নি।
দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা গাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, ছয় মাস আগে তাদের এলাকায় লিংক রোডের দুই পাশে আরসিসি নালার নির্মাণকাজ শুরু হয়। রাস্তা তিন ফুট নিচু হয়ে লিংক রোডে গাড়ি উঠতে পারছে না। কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
লামাপাড়া এলাকাতেও লিংক রোডের নালার তুলনায় পার্শ্বরাস্তাগুলো নিচু হয়ে গেছে। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নে লিংক রোডের সঙ্গে যুক্ত এমন ৪০টি পার্শ্বরাস্তা তিন-চার ফুট নিচু হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে সড়কগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
এখন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে কোনোভাবেই সড়কগুলো উঁচু করা সম্ভব নয়। এগুলো সওজকেই করতে হবে।
তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মেহেদী ইকবাল বলেন, সওজ থেকে কয়েকটি পার্শ্বরাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। অন্য পার্শ্বরাস্তাগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি করপোরেশনকে নিজ অর্থায়নে করতে হবে ।এসএম/জেসি