নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে চোখ
পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার
#আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ এক আসন
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) হলেও সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিগত ১১টি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যে দল বিজয়ী হয় সে দলই দেশে সরকার গঠন করেছে।
স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৩ সালে। সে সময় ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের নাম ছিল ঢাকা-২৯ আসন। সে বার এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বাবুরাইলের মুজাফফর কন্ট্রাকটরের ছেলে আফজাল হোসেন এবং সে বার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল। ১৯৭৯ সালে দেশে দ্বিতীয় সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার এ আসনের নাম ছিল ঢাকা-৩১ আসন। সে সময় বিএনপি থেকে এ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয় শিল্পপতি এম এ সাত্তারকে। নির্বাচনে এম এ সাত্তার জয়ী হন এবং বিএনপি প্রথম দেশে সরকার গঠন করে।
৩য় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৮৬ সালে। এ সময় এরশাদ সাহেব রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সেবার জাতীয় পার্টি থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয় এম এ সাত্তারকে, তিনি জয়ী হন এবং জাপা সরকার গঠন করে। ৪র্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালে। সে বারও জাপা থেকে মনোনয়ন পান এম এ সাত্তার। তিনি বিজয়ী হন, জাপা সরকার গঠন করে এবংসাত্তার সাহেব মন্ত্রী হন। প্রথমে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী, পরে পাটমন্ত্রী এবং এরশাদ পতনের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন চীফ হুইপ।
১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন হয়। ৫ম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হন এবং বিএনপি সরকার গঠন করে। ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ বেশ কিছু দল অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপি থেকে শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী এমপি হন। এ বছরই ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনষ্ঠিত হয়।
এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শামীম ওসমান এবং বিএপির সিরাজুল ইসলামকে পরাজিত করে তিনি প্রথম বার এমপি হন। ৮ম সংসদ নির্বাচন হয় ২০০১ সালে। সেবার শেষ মুহুর্তে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বিএনপির মনোনয়ন পান এবং শামীম ওসমানকে পরাজিত করে এমপি হন। এ পরাজয়ের পর শামীম ওসমান স্ত্রীপুত্র ও দলবল নিয়ে দেশত্যাগ করেন। ৯ম সংসদীয় নির্বাচন হয় ২০০৮ সালে। এ নির্বাচনে বাংলা ছবির মিষ্টি মেয়ে সারাহ বেগম কবরী নাঃগঞ্জ-৪ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পান এবং বিএনপি প্রার্থী শিল্পপতি শাহ আলমকে পরাজিত করে এমপি হন।এমই/জেসি