সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পঞ্চবটি সরকারি কলোনীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কয়েকশত মানুষের বসবাস

সায়মুন ইসলাম

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার

ফতুল্লা পঞ্চবটির সরকারি কলোনীতে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ৬টি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবনের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়। সরেজমিন এই কলোনি ঘুরে দেখা যায় ৫ তলা বিশিষ্ট তিনটি ভবনের অবস্থা খুবই শোচনীয়। সম্পূর্ণ ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেয়াল থেকে বালি-সিমেন্ট খসে পড়ছে। ভবনের রড বের হয়ে রয়েছে। 

 

আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা, ছোট থেকে মাঝারি পর্যায়ের ভূমিকম্প হলেই ধসে পড়তে পারে এসব ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ভবন। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এসব মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ভবনেও বসবাস করছে মানুষ।এ নিয়ে ভবনে বসবাস করা মানুষ ও আশেপাশের মানুষের উৎকন্ঠার শেষ নেই। তবুও তারা ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে বসবাস করছে।

 


সরকারি কলোনিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নিরাপত্তারক্ষী যুগের চিন্তাকে জানায়, এই কলোনীটি প্রায় ৫০ বছর আগে এরশাদ সরকার এর আমলে তৈরী হয়েছিল। এরপর এখানে আর কোনো সংস্কারমূলক কাজ হয়নি। এখানে মূলত শিল্প মন্ত্রণালয় এর বিভিন্ন পদে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের বসবাস।

 

 এখানে ৫ তলা বিশিষ্ট প্রতিটি ভবনে ৩০ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। সর্বমোট ১৮০ টি ফ্ল্যাট এই কলোনিতে। তবে এর মধ্যে ৯০ টি ফ্ল্যাট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে থাকা প্রতিটি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে দিন পার করছে।

 


তিনি আরোও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এইসব ভবন থেকে লোক স্থানান্তর এর চিন্তা ভাবনা চলছে।
কলোনিতে বসবাস করা এমন একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি আসলে সরকারি কোনো চাকরি না করা সত্বেও এই কলোনীতে ভাড়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। 

 

তিনি জানান,ফ্ল্যাটগুলো যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া আছে ,তাদের থেকে তারা ভাড়ায় নিয়ে এখানে বসবাস করে আসছেন। যাদের ফ্ল্যাট তারা অন্যত্র ভাড়ায় থাকেন। নিরাপদে থাকেন। তাই তাদের এসব জীনর্র্শিন ভবন নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

 


সরকারি কলোনী মসজিদে প্রতিদিন নামাজ পড়তে আসা এক মুসুল্লীর সাথে কথা বললে তিনি জানান,দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন কলোনীর ভবনগুলো খুবই নাজুক। যে কোনো সময় ধসে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এখানে বিকেলে বাচ্চারা খেলে।যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে তবে অনেক প্রান নাশের প্রবল সম্ভাবনা থাকবে।

 


এখানে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়,আমরা চরম ঝুকি নিয়ে এখানে বসবাস করছি।যে কেনো সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটলে আমরা মারা যাবো। আসলে এই দেশে দূর্ঘৃটনা ঘটার আগে কেউ এটা যাতে না হয় সেটার দিকে খেয়াল রাখেনা।
যখন দূর্ঘটনা ঘটবে তখন সবাই এসে কথা বলবে।

 


এ ব্যাপারে ফতুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন সাহেব এর সাথে কথা বললে তিনি যুগের চিন্তা কে জানান, এটা আলাদা একটি কোম্পানী। তবে এই এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকলের নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে আমার। এক্ষেত্রে কেউ যদি এ বিষয়ে আমাকে অভিযোগ করে তাহলে আমি এই ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করার চেষ্টা করবো।এসএম/জেসি