অবৈধ দখলে রেললাইনের দু’পাশ, দূর্ঘটনার আশঙ্কা
কলি আহমেদ
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ২১ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
#ঝুঁকিতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে দাবি ব্যবসায়ীদের
নারায়ণঞ্জের রেললাইনের দুপাশ জুড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য ও কাঁচাবাজারের দোকান। এসব দোকান ও বাজার চলে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। অবৈধ দোকান নিয়ন্ত্রণ বা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে এখান থেকে এলাকার প্রভাবশালীরা প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তি এসব চাঁদাবাজদের সহায়তা করছে বলেও জানা যায়। রেললাইনের দুপাশে গড়ে উঠা এসব দোকান ও বাজারের কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
গতকাল শহরের ১নং রেলগেট থেকে ২নং রেলগেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রেললাইনের দুপাশে রয়েছে কাঁচা বাজারের দোকান, ফলের দোকান, জুতার দোকান, কাঁচের জিনিসপত্রের দোকানসহ হরেক রকমের দোকান। এসব দোকান রেললাইনের পাশাপাশি রেল লাইনের উপরেও উঠে এসেছে অনেক দোকান। আবার কিছু কিছু দোকানের অস্থায়ী ছাউনী চলে এসেছে লাইনের উপরে। যখনি রেল আসার হুইসেল বেঁজে উঠে তখনি তারা তরিঘরি করে তাদের পণ্য সরিয়ে নেয় কিংবা বাশের খুটি টেনে ছাউনী সরিয়ে নেয়। লাইন ঘেঁষে ও লাইনের উপর এসব দখলদারদের হাতে থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল করা প্রায়ই বিপজ্জনক হয়ে উঠে বলে পথাচারীদের অভিযোগ। অনেক সময়ই দ্রুত সরাতে গিয়ে পথচারীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয় তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পথচারী জানান, নগরীর এক নম্বর রেলগেট এলাকার ফলপট্টির মোড় থেকে শুরু করে চাষাঢ়া ষ্টেশনের উভয়পাশে রেলের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গড়ে উঠছে বহু দোকান। শহরের কিছু প্রভাশালী লোকের নাম করে এখানে বেশ কয়েকজন চাঁদাবাজ এসব দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলে নিচ্ছে। তারা আরও জানান, রেললাইনের পাশে বাঁশের বেড়ার তৈরি দোকান গুলো থেকে মাসে প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় হয়। অন্যদিকে এখানকার ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
এই বিষয়ে এখানকার বিভিন্ন দোকানীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে যে কেউ ইচ্ছা করলেই দোকান নিয়ে বসতে পারে না। এর জন্য স্থানীয় পুলিশ ও প্রভাবশালী লোকদের দিতে হয় দৈনিক মাসোহারা। তবে ব্যবসায়ীরা এই বিষয়ে কোন অভিযোগ করতে নারাজ। তারা জানান, দোকান না খুললে তাদের সংসার চলবে না। তাই চাঁদা দিয়ে এখানে নিয়মিত বসার সুযোগ পাওয়াটাও অনেকের ভাগ্যে জুটে না। তাই চাঁদা দিতে তাদের কোন আপত্তি নেই। তারা আরও জানান, প্রায় সময়ই দেখা যায় রেললাইনের পাড়ে অনেকে বসে থাকে, আমরা এখানে থাকি বলে তাদেরকে শতর্ক করতে পারি। আর তাইতো দুর্ঘটনা খুব কম ঘটে। এমই/জেসি