তীব্র গ্যাস সংকটে বিপাকে কাঠেরপুলের শিল্পমালিকেরা
আরিফ হোসেন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ জুন ২০২২ রোববার
নারায়ণগঞ্জ ও তার আশেপাশের এলাকাগুলোর বাসাবাড়ি, শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবারহ যেন বাঘের দুধের মতোই দূর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফতুল্লার কাঠেরপুর এলাকার নিবাসী এক গৃহবধু জানান প্রতিদিনই রান্না করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পরতে হয় । এর কারন হচ্ছে সারাদিন তেমন গ্যাস থাকেনা ।তাই ভোর সকাল বেলাই রান্না করে ১০ টার মধ্যে শেষ করতে হয় কারণ তার পর গ্যাস চলে যায়।
ফতুল্লায় কাঠেরপুল এলাকাটি একটি শিল্পনগরী এলাকা যেখানে কয়েকশত ডাইং কারখানা হয় বিভিন্ন মিল-ফেক্ট্ররী রয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগ কারখানাতে লাইন গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে ।
কাঠেরপুল এলাকার চাঁদ ডাইং এন্ড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ এর ম্যানেজার মানিক কাজী যুগের চিন্তাকে জানান, বাংলাদেশের বিশেষ পেক্ষাপটে ২০০৮ সালের পরে গ্যাসের ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে ।তারপর ২০১৫থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কিছুটা উন্নতি হয় আর সেই প্রক্রিয়া চলমান ছিল,তবে কিছুদিন আগে আদমজী ইপিজেডে দূর্ঘটনার কারনে গ্যাস লাইন ও পাইপ বিপদগ্রস্থ হয়ে যায় ,ফলে নারায়ণগঞ্জে বিরাট সংকট আকার ধারণ করে এবং গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দেয়।
বিগত ১৫ দিন যাবত এই সমস্যা চলতে থাকে।আর এতে করে অনেক ফ্যাক্ট্ররী বন্ধ হয়ে যায় আর ফ্যাক্টরীর কাজকর্ম ব্যহত হয় এতে করে শিল্পমালিকরা বেকায়দায় পরে যায়।সামনে যেহেতু কোরবানীর ঈদ শ্রমিকদের বেতন বোনাসের বিষয় আছে ,কাজকর্ম বিগ্ন ঘটায় সামনে বেতন বোনাস দেওয়াটা কঠিন হয়ে যাবে।
তাই এই বিষয়টা সরকারের নজর দেওয়া উচিৎ শিল্প মালিকদের যেন চাপ না হয়।আর আমারা যেহেতু ফ্যাক্ট্ররী চালাই শ্রমিকদের খাওয়ায়ে পরায়ে ঠিক রাখলে আমাদের শিল্প ঠিক থাকবে এরকম আমরা বুঝি।২০০০ সাল থেকে এমকি হয়তো তার আগে থেকেই আমাদের এই চাদঁ ডাইং এর কোন শ্রমিকের বেতন -বোনাস নিয়ে কার্পন্ন করিনি।
তারপরও এ বছর গ্যাস বিপর্যযের কারনে কাজকর্ম না থাকায় আথিক সংকটে পরে গেছি,তারপরেও আমরা চেষ্টা যথা সময় শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার।প্রায় ১৫ দিনের বেশি সময় গ্যাস ছিলনা আজকে ২ টার পর গ্যাসের যেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আগুন লাগার আগে যেই অবস্থা ছিল সেই অবস্থায় চলে আসছে।
গ্যাস সংকটের বিষয় জানতে ঢাকা টেক্সটাইল কর্মী ইব্রাহিম জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমাদের এই এলাকাতে গ্যাস ছিলনা।আর এই গ্যাস না থাকার কারনে মিল-ফ্যাক্ট্ররী বন্ধ ছিল,আজকে আমরা ২ টার পর থেকে গ্যাস পেয়েছি।আর এই বন্ধ থাকার কারনে শ্রমিকদের উপর অবশ্যই এটার প্রভাব পরবে এর কারণ হচ্ছে কোম্পানী যদি আমাদের দিয়ে কাজ না করাতে পারে বেতন কোথায় থেকে,আর এটা তো সরকারী না।
সরকার তো আমাদের কাছ থেকে ঠিকই টেক্স নিচ্ছে।সরকার তো এটা এটা চিন্তা ভাবনা করছে না গ্যাস নাই মিল-কারখানা চলতেছেনা কিভাবে মালিকরা শ্রমিকদের বেতন দিবে।সরকারের টেনশন কিভাবে বিল নিতে হবে।দীর্ঘদিন গ্যাস না থাকার কারনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে হয়েছে ।তাই এই প্রভাবটা শ্রমিকদের ওপর পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা তিতাসের কর্মকর্তা আজিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আদমজী ইপিজেডে এলাকায় পাইলিং করার সময় গ্যাসের পাইপ ফেটে যায় আর এতে করে ব্যাপক বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে আর এই সমস্যার কারনেই গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে।তবে আজকে থেকে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।এসএম/জেসি