সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নোংরা পরিবেশে পরোটা-মিষ্টি আল পারভেজ মিষ্টান্ন ভান্ডারে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ২৬ জুন ২০২২ রোববার

কাশিপুরের ভোলাইল মিষ্টির দোকান খ্যাত জায়গাটি মূলত আল পারভেজ মিষ্টির দোকানের নামেই সুপরিচিত। এটা ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে অবস্থিত।এই দোকানটি প্রায় ৩৬ বছর ধরে এখানে ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এত পুরানো একটি অতি পরিচিত দোকান অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দোকানের যাচ্ছেতাই অবস্থা। 

 

এ দোকানটিতে মূলত সকালে ও বিকেলে পরোটা তৈরি করা হয়। যার মূল ভোক্তা গার্মেন্টস শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা না করে দোকানটি নোংরা ও দূষণযুক্ত পরিবেশে খাবার তৈরি করে ঝুঁকিতে ফেলছে ভোক্তাকে। তাদের পরোটা বানানোর কাজে ব্যবহ্রত তাওয়াটি একদম সড়কের পাশেই বসানো হয়েছে।

 

 যে সড়কটি আবার তিনটি রাস্তার সংযোগস্থল। এদিক দিয়ে হাজার হাজার গার্মেন্টস কর্মী , সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে। তাদের চলাফেরার সময় সৃষ্ট ধুলাবালী পরোটা বানানোর তাওয়া এবং আটা তে এসে সরাসরি পরে। যা পরবর্তিতে ভোক্তাদের পাকস্থলি তে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সৃষ্টি করছে। 

 

এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে  প্রতিদিন হাজার হাজার বাস,ট্রাক,কাভার্ডভ্যান,অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। এসব বাহনের সৃষ্ট ধুলা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পরোটার মাধ্যমে ভোক্তাদের পাকস্থলী তে যাচ্ছে যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি সৃষ্টি করছে।

 

শুধু পরোটাই নয় ।এখানে জিলাপি ও রসগোল্লা ও তৈরি হচ্ছে নোংরা পরিবেশে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের অন্ত নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্মেন্টসকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে যুগের চিন্তাকে বলেন, এই দোকানটি ৩০ থেকে ৪০ চল্লিশ বছর ধরে এখানে আছে। অনেক মানুষ এখানে সকালের নাস্তার জন্য আসে ।

 

অথচ তাদের নাস্তা তৈরির পরিবেশ দেখে অবাক হয়ে যাই। কি নোংরা পরিবেশে তারা খাবার তৈরে করছে। এগুলো অসচেতন কিছু মানুষরা খাচ্ছে এবং সল্প থেকে দির্ঘমেয়াদী  রোগে ভুগতেছে। এগুলো দেখেও যেনো দেখার কেউ নেই। এগুলো নিয়ে বলার কেউ নেই।

 

এ বিষয়ে দোকানের ম্যানেজার আঃআলীম বলেন, আমাদের দোকানটির মালিক মুজিবুর রহমান। এ দোকানটি ৩৬ বছর ধরে মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। খাবারের নোংরা পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। 

 

তিনি বলেন হোটেলের তাওয়া সবসময় সামনেই থাকে। তাই এটা হোটেলের সামনে অর্থাৎ রাস্তার পাশে। এটা এখান থেকে সরানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। কারণ এখানের রাস্তা প্রশস্তের কাজ শুরু হলে তাদের হোটেলটি ভেঙ্গে ফেলা হবে।এসএম/জেসি