সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাষাড়া বালুর মাঠে রডের দোকানগুলোর কারণে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:১৯ পিএম, ২৯ জুন ২০২২ বুধবার

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ রোডে রয়েছে বিভিন্ন লোহা ও রোডের দোকান। যার কারণে এখানকার পথচারীদের যে কোন সময় হতে পারে যে কোন প্রকারে দূর্ঘটনা। এই রোডে রয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, চাষাড়ার প্রাণকেন্দ্র শহিদ মিনার, বেলী স্কুল। যার কারণে এই রোড দিয়ে নিয়মিত অনেক মানুষের চলাচল হয়ে থাকে। 

 

এই লোহা ও রডের দোকানগুলোর কারণে এখানে নিয়মিত বড় বড় ট্রাক ডুকে মাল লোড ও আনলোডে করে থাকে। যার কারণে এই রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। সামনে বেলী স্কুল এই রোড দিয়ে নিয়মিত অনেক ছাত্র-ছাত্রী চলাচল করে থাকে। এই রোড দিয়ে অনেকে শহীদ মিনারে আসে ,রেস্টুরেন্টে আসে এই রডের দোকান গুলোর জন্য বিপাকে পরতে হয় তাদের ও।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রোডে অনেক লোহা ও রডের দোকান। রাস্তা বন্ধ করে তারা মাল লোড আনলোড করছে। মানুষের চলাচলে বেগাত ঘটাচ্ছে। ফুটপাত দখল করে রেখেছে রডের দোকানদাররা তাদের ভ্যানগাড়ি রেখে। ফুটপাত দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। ফুটপাতে বড় বড় লোহা,এঙ্গেল,টিনের টুকরো,ইত্যাদি পরে আছে যা মানুষ হাটলে হতে পরে কোনো প্রকারের দূর্ঘটনা।


 
এ বিষয়ে বেলি স্কুলের এক গার্ডিয়ান জানান, আমি সকালে নিয়মিত আমার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে আসি। কিন্তু এই সামনে যে অনেকগুলো রডের দোকান। যা এই রোডে ভালো বলে আমি মনে করি না। এই রোড দিয়ে চলাচলের সময় আমাদের অনেক ভয় লাগে। তারা যেভাবে রডগুলো লোড আনলোড করে। তারা আসে পাশে দেখে না হঠাৎ রড নিয়ে বেরিয়ে পরে যার কারণে এই রোডে চলাচলকৃত মানুষের দূর্ঘটনার কবলে পরতে হতে পারে।

 

এই রোডে যে ফুটপাত রয়েছে তা ও অর্ধেক ছোট ছোট রেস্টুরেন্ট বসিয়ে দখল করে রেখেছে। আর বাকি অর্ধেক লোহার দোকানদারদের দখলে। তাই আমাদের এই রোড দিয়েই চলাচল করতে হয়। কিন্তু রোডের পাশে এই দোকানগুলার জন্য আমরা হাটতে ও পারি না।

 

এ বিষয়ে এক পথচারী শামীম জানান, এই রোডে রডের দোকানগুলোর জন্য আমাদের অনেক সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে। এই রোড দিয়ে আমরা চলাচল করে কোনো শান্তি পাচ্ছি না। হঠাৎ রড নিয়ে বাহির হয় লেবাররা সামনে কি হচ্ছে পিছনে কি হচ্ছে তার কোনো চিন্তাই থাকে না তাদের মাথায়। এতে যে কোনো সময় আমরা খেয়াল না করলে আমাদের দুর্ঘটনার কবলে পরতে হবে। 

 

আর এখানে কলেজ ছাত্র-ছাত্রী,স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরাসহ অনেকে আমরা এখানে আসি। এটা চাষাড়ার প্রাণকেন্দ্র যদি এখানে শান্তি পাওয়ার মতো একটা জায়গা যদি আমরা এখানে সময় পাস না করতে পারি তাহলে আমরা কোথায় যাবো। আমরা যা মনে করি এই রডের দোকানগুলোর স্থান পরিবর্তন করা দরকার। তা না হলে আমাদের দূর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।এসএম/জেসি