সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাতি দিয়ে দিনদুপুরে শহরে চাদাঁবাজি

সায়মুন ইসলাম

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

 


চাঁদাবাজি বর্তমান সময়ে খুবই সাধারণ এবং নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যপ্রাণি হাতিকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

 

বুধবার (২৯ জুন) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের চাষাড়া মোড় ও ডন চেম্বার এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী দুটি হাতি। যার ফলে ঐ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে ভয় পাচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে ফলে ঘটেছে সাময়িক যানযট। অপরদিকে হাতির পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছে মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান পথকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। দোকান অনুযায়ী ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হচ্ছে মাহুতকে। শুঁড়ের মাথায় টাকা না দেয়া পর্যন্ত পিঁছু হটছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। শুধু দোকানেই নয় রাস্তার যানবাহন থেকেও তোলা হচ্ছে টাকা। এভাবে অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে চাদাঁবজি। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।

 


এক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, টাকা না দিলে হাতিটি যাবে না। তা ছাড়া অনেক সময় ভাংচুর করে। এ জন্য জামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করলাম।

 

এক পথচারি জানান, এত বিশালদেহী হাতি দেখে বাচ্চা ভীষণ ভয় পেয়েছে। তাই তিনি চাঁদা হিসেবে ১০ টাকা দিয়ে এ স্থান দ্রুত প্রস্থান করেছেন। এ ছাড়াও হাতির চাদাঁবাজির কারনে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে যা ভোগান্তির আরেকপর্ব।

 

হাতির মাহুতকে এই চাদাঁবাজির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এটা চাঁদাবাজি না। হাতিগুলোর ভরণপোষণ এর জন্য খুশি হয়ে যে যা দেয় তাই নেয়া হয়। কাউকে জোর টাকা দিতে বাধ্য করা হয়না। যে যা খুশি দেয়, তাহলে এটা চাঁদাবাজি কিভাবে? তবে এভাবে একটা বন্যপ্রাণিকে ব্যবহার করে টাকা সংগ্রহ করা কতটা যৌক্তিক প্রশ্ন থেকেই যায়।এমই/জেসি