সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

একলাখের বেশি অটোরিক্সা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গলার কাঁটা

লিমন দেওয়ান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ২০ জুলাই ২০২২ বুধবার

 

# অনেক গ্যারেজে চলছে মিটার টেম্পারিং এর মতো ঘটনা 

 পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা এই বিষয়ে অভিযান চালাচ্ছি : এজিএম পল্লি বিদ্যুৎ

 

 

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জেলার বিদ্যুৎ ঘাটতির অন্যতম প্রধাণ কারণ নিষিদ্ধ ইজিবাইক বা অটোরিক্সা। কেননা অবৈধ এই যান সচল রাখতে ব্যবহৃত হয় বিদ্যুতের বিশাল ব্যবহার। যা সাধারণত রাতে গ্যারেজ মালিকরা অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে। তাই অবৈধ এসব অটোরিক্সা গ্যারেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে খুব বড় রকমের সুফল মিলবেনা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে বিশেষজ্ঞরা।  

 

নারায়ণগঞ্জ জেলার ট্রাফিক বিভাগের কাছে নিষিদ্ধ অটো রিক্সা ও ব্যাটারি চালিত অটোর নিদিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও অনুমান অনুসারে জেলায় প্রায় ১ লাখের ও বেশি অটো ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে। যার কারণে সারা দেশে  প্রচুর পরিমানে বিদ্যুতের গাটতি দেখা দিচ্ছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি গ্যারেজেই রয়েছে নিষিদ্ধ অটো ও ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সাগুলো প্রায় প্রতিদিনপ্রতিটি গাড়ি তারা ৭ থেকে ৮ ঘন্টা চার্জ দিয়ে থাকে। প্রতিটি গাড়ির ব্যাটারি ১২ ভোল্ট। বড় অটোতে ব্যবহার করা হয় ৫টি করে ব্যাটারি আর ছোট মিশুকে ব্যবহার করা হয় ৪টি করে ব্যাটারি। আর প্রতিটি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ১২০০ থেকে ১৪০০ ওয়াট হিসেবে সাত থেকে আট ইউনিটের মতো বিদ্যুৎ খরচ হয়। প্রতিটি গ্যারেজেই  ৮০ ভাগ বিদ্যুৎ চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি চার্জ করায় সরকার প্রায় ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

জেলার অনেক গ্যারেজে চলছে মিটার টেম্পারিং এর মতো ঘটনা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন করে ইজিবাইক আমদানি বন্ধ ও পুরনোগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি গত কয়েক বছরেও এখনো দেখা যায় প্রতিটি অটোরিক্সার শৌরুমে অনেক ইজিবাইজ সাজিয়ে রেখেছে দোকানীরা বিক্রির উদেশ্য এই ইজিবাইকগুলো যদি রাস্তায় নামানো হয় সরকার আরো বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পরবে। এই ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিক্সাগুলো যে গ্যারেজে রাখছেন সে জায়গা থেকেই রাতভর একটি গাড়ির শুধুমাত্র চার্জের জন্য গ্যারেজ মালিককে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।


 
জেলার অনেকগুলো অটোরিকশা গ্যারেজ ঘুরে দেখা যায় বিদ্যুৎ বিল এখন একটু বেশি হওয়ায় এসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে অনেক বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। তারই প্রেক্ষিতে গ্যারেজ মালিকরা খরচ কমিয়ে বাড়তি টাকা আয়ের জন্য অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছে।


 
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর এজিএম (ওএন্ডএম) মো. জাফর সাদিক খান জানান, জেলায় যতগুলো গ্যারেজে চুরিকৃত বিদ্যুৎ লাইন আছে তা আমাদের কাছে তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা এই বিষয়ে অভিযান চালাচ্ছি। গত ৬ মাস থেকে ১ বছরে আমরা অনেক পরিমানে গ্যারেজে অবৈধ চোরাই লাইন দরছি তাদেরকে আমার লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। প্রত্যেকদিন আমাদের রাতে অভিযান চলছে দিনে ও অভিযান চলছে। এই অবৈধ বিদ্যুৎ কারাব্যবহার করে তাদের পিছনে লেগে আছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহৃত থাকবে।এমই/জেসি