সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জালকুড়ি শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এখন গাড়ির গ্যারেজ  

আরিফ হোসেন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:৫৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার


# প্রায় ৩ বছরের বেশি সময় নেই কোন স্বাস্থ্যসেবা
# আনসাররা টাকার বিনিময়ে রিকশা-ভ্যান রাখার সুবিধা দেয়

 

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত জালকুড়ি শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বেশ কয়েক বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। করোনা শুরুর আগে থেকেই এই শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটটি সকল রকম সেবা দেওয়া বন্ধ রাখে ।আর এখন পর্যন্ত চালু হয়নি।


 
মাতুয়াইল শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর তত্বাবধায়নে চলতো এই জালকুড়ি  শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটি। তবে জনবলের অভাবের কারনে এই সেবা প্রতিষ্ঠানটি এখন একেবারেই বন্ধ রয়েছে।আর এইটা চালু হবার মতো কোন রকম সম্ভাবনা নেই এর কারন হচ্ছে তারা এখানকার এই শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট তারা পরিচলনা করার জন্য বিশেষজ্ঞ  ডাক্তার ও সেবা দেওয়ার জন্য  লোক না থাকাল কারনে তারা এই শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।


 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  জালকুড়ি শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটির চারপাশ একেরারেই জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এমনকি এর ভিতরেই রিকসা, ভ্যান, অটো, সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন রেখে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এই শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর আনসার কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে।শুধু তাই নয় এটার ভিতর যে সকল রুম রয়েছে সেটাতে আবাসিক বানিয়ে বাহিরের লোকজন ও স্টাফ বসবাস করছে। আর সেখানে আনসার ব্যতিত আর কাউকেই পাওয়া যায়নি ।


 
জালকুড়ি শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর এক আনসারের কাছে এ সকল বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানে এখন কোন কার্যক্রম চলেনা দুই থেকে আড়াই বছর যাবৎ বন্ধ।আর এই যে রিকসা, ভ্যান, অটো যারা রাখে তারা আমাদের কে চা নাস্তার খরচ দেয় তাই রাখতে দেই।


 
অভিযোগ রয়েছে, শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একাধিকবার ভবনটি পরিবার পরিকল্পনার নিকট ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হলেও তারা হাসপাতালটি হস্তান্তর করেনি। এই দুই দপ্তরের টানাপোড়েন এখনো অব্যহত রয়েছে। যার কারণে পরিবার পরিল্পনার সেবাটাও ঠিকভাবে পাচ্ছেনা।


 
এ বিষয়ে জালকুড়ি শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমাদের এই সেবা প্রতিষ্ঠানটি মাতুয়াইল শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটি আওতায় আমরা চালিয়েছি করোনার পর বন্ধ হয়েছে আমরা তা এখনো চালু করতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করছি খুব শিঘ্রই এই জালকুড়ি শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটি চালু কববো এবং আমরা পূনরায় শিশু ও মাতৃ সে সকল সেবা আছে তা চালু করবো ।তবে আমরা সব সময়ই এই জালকুড়ি  শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটির সব সময়ই নজর রাখছি এবং সেখানে আমাদের স্টাফ রয়েছে দেখাশোনার জন্য।


 
আর এই জালকুড়ি  শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পাশেই রয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং সেটি নিয়ন্ত্রণ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর সেটি সম্পূর্ণভাবে চালু রয়েছে এমনকি সপ্তাহের সাত দিনই তারা কোন রকম টাকা ছাড়াই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে । এমনি প্রতিদিনই তারা নরমাল ডেলিবারি করে যাচ্ছে।তাদের এই মা ও শিশু স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রের আওতায় সদর উপজেলায় ৯টি পারিবারিক ওয়েল ফেয়ার সেন্টার রয়েছে।যা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ১ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ওডিট এর জন্য সব সময়ই দুইজন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।এমই/জেসি