সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাইফুল্লাহ বাদলের বাড়ির সামনে ড্রেনের ময়লা পানিতে ভাসছে মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২ রোববার

 

# এই রোডের সংস্কারের কাজ হয়েছে সামনে আবার হবে : বাদল
# এই বছরের ভিতরে এই রোডের কাজ ধরবো : পলাশ

 

কাশিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হাটখোলা চৌধুরীগাঁও এলাকায় ড্রেনের ময়লা পানিতে ভাসছে এলাকাবাসী। প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর যাবৎ ১২ মাসই এই রোড ময়লা পানিতে ডুবে থাকে। এই রোড দিয়ে চলাচলকৃত সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তিতে পড়ছে। আশেপাশের এলাকার বাসস্থানগুলোর ময়লার পানি এই ড্রেন দিয়ে যাতায়াত করে। ড্রেন সকীর্ণ হওয়ায় পানি যাতায়াতে বিগ্ন ঘটে এতে করে ময়লা পানিতে রাস্তা ডুবে যায়।

 

এই ময়লা পানির দুর্গন্ধে এলাকায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এলাকায় বিভিন্ন ধরণের পানিবাহিত রোগ হচ্ছে। এই রোড নিয়ে সাধারণ মানুষ অনেক প্রতিবাদ ও করেছে কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ময়লা পানিতে রাস্তা ডুবে আছে। রাস্তার আশেপাশের বাড়ির ও দোকানগুলোর লোকেরা ময়লা পানির কারণে ভোগান্তীতে পড়ছেন। এই রোড দিয়ে নিয়মিত অনেক লোক চলাচল করে। তাদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে।

 

এলাকার লোকেরা বিপদে পরে পানি পাড়িয়ে রাস্তা পারাপার করছে। এ ময়লা পানিগুলোর কারণে শিশুসহ এলাকার অনেকের টাইফয়েড জ্বর, রক্ত, আমাশয়, ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি। রোগে আক্রান্ত হতে হয় তাদের। ময়লা পানিগুলোর কারণে এলাকার শিশু এ বিষয় প্রতি অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন। এলাকাবাসীরা একটাই কথা বলছেন তাদের দেখার কেউ নেই।

 


এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা জানান,  প্রায় ১০ বছর যাবৎ এই রোড এই অবস্থায় পরে রয়েছে। ১২ মাসই এই রোড পানিতে ডুবে থাকে। আর বৃষ্টি আসলে তো আমাদের এই রোডে হাঁটু পর্যন্ত পানি থাকে। আমরা এই রোড  নিয়ে পুরো ভোগান্তীতে রয়েছি। এলাকার কেউ মারা গেলে এই রোড দিয়ে ঈদগাহ্ কবরস্থান পর্যন্ত নিয়ে যেতে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মূখিন হতে হয়। ২ বছর আগে চেয়ারম্যান সাহেব এই রোডের ড্রেন করেছিলো কিন্তু কোনো লাভ হয়নি ড্রেন সংকীর্ণ থাকায় আবার আগের মতো রাস্তা ডুবে গেছে। কোনো লাভ হয়নি। আমরা নামাজ পড়তে যেতে হলে এই ময়লা পানির উপর দিয়ে যেতে হয়।

 

আমরা অনেক রোগে ও আক্রান্ত হচ্ছি এই রোডের ময়লা পানির কারণে।  প্রায় আট মাস আগে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে আমাদের মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী গিয়েছিলো। আমাদের বলেছেন বাজেট আসলে কাজ করে দিবো কিন্তু কবে করবে কোনো সময় দেই নাই। এই রোডের প্রতি কোনো প্রতিনিধির নজর নেই।

 

আওয়ামী লীগের আমলে অনেক রোডের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু আমরা কোনো উন্নয়ন পাচ্ছি না। আমাদের এই এলাকায় মেম্বার সাহেবের ও চেয়ারম্যান সাহেবের বাসা কিন্তু তারা এই এলাকার হওয়া সত্ত্বে ও আমরা এই ড্রেনের ময়লা পানিতে ভাসছি তাদের মাধ্যমে এই রোডের সংস্কারের কাজ পাচ্ছি না। আমরা চাই এই রোড তারাতারি সংস্কার হোক তা না হলে আমাদের অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে আমরা এই রোড তারাতারি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

 


এ বিষয়ে চৌধুরীগাঁও মসজিদের এক সদস্য জানান, এই রোডের দায়িত্ব চেয়ারম্যান ও মেম্বার সাহেবের। রাস্তাটার আসল সমস্যা হলো ড্রেন সংস্কার হয় না। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কোনো খেয়ার করে না যার কারণে জনগণ ভুক্তভোগী। আমাদের মেম্বার পলাশ সাহেব তিনি যদি একটু এই বিষয়টা খেয়াল করে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে বসে এই রাস্তার বিষয়ে কিছু করে তাহলে আমাদের এই সমস্যায় পড়তে হয় না। এ মাস আগে আমরা শুনতে পেয়েছিলাম রোডের টেন্ডার আসছে কাজ হবে। কিন্তু কবে হবে এটা বলে নাই। যদি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আমাদের ৪ আসনের এমপি শামীম ভায়ের কাছে ও আমাদের আকুল আবেদন এই রোডের দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া হোক।

 


এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেজবাউর রহমান পলাশ জানান, এই রোডটা যখন করা হয়েছিলো সঠিক পরিকল্পনায় করা হয় নাই। এই কারণে রোডের এই অবস্থা। এই রোডের বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব ও এমপি মহেৃাদয় ও অবগত রয়েছেন। আগে আমাদের এই রোডের টেন্ডার হয়ে ছিলো শুধু রোডের কিন্তু আমাদের শুধু রোড করলে হবে না সাথে ড্রেনের প্রয়োজন সে কারণে আমরা গত সপ্তাহে ড্রেন পুরোটা মেপেছি আশাকরছি এই বছরের ভিতরে কাজ শুরু করে ফেলবো।


কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদল জানান, এই চৌধুরীগাঁও রোডের সংস্কারের কাজ একবার হয়েছে সামনে আবার হবে।এসএম/জেসি