সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজার নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকরী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২২ সোমবার


# আমরা ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা বদ্ধ পরিকর : সেলিমুজ্জামান


৫ আগষ্ট  মধ্যরাতে হঠাৎ করে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ঘোষণার পর থেকেই সারাদেশে হু হু করে বাড়তে থাকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।  কোনো রকম যুক্তি ছাড়াই যে যেভাবে পেড়েছে, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষ। 

 


নারায়ণগঞ্জ শিল্প অঞ্চল হওয়ায় এখানে বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মানুষ আসে কাজের সন্ধানে কেউ গার্মেন্টস এ স্বল্প বেতনে কাজ করে, কেউ রিক্সা চালিয়ে, কেউ দিন মজুরের কাজ করে কোনো রকমে টিকে থাকার লড়াই করে কোনোরকম দিন পার করছে। এমতাবস্থায় , দ্রব্যমূল্যের সিমাহীন উর্ধ্বগতির কারণে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। 

 


২১ আগষ্ট (রবিবার)  শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,  মুরগির ডিম ৩৮ টাকা হালি, হাসের ডিম ৫৬ টাকা হালি। লতা চাল ৬০ টাকা কেজি, মিনিকেট চাল ৭৫ টাকা কেজি,নাজিরশাইল চাউল ৮০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৯০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা লিটার। পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি, আলু ৩২ টাকা কেজি। ৫০ টাকার কমে কোনো সবজি নেই বাজারে। যার ফলে  নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে।

 


মুজিব নামের এক দিনমজুর জানান, আমি সারাদিন কাজ করে ৪০০ টাকা পাই। আগে সপ্তাহে একদিন মাংস কিনতে পারলেও এখন আর সেটা সম্ভব না। এখন ডিম কিনেও খেতে পারিনা। একটা কিনতে গেলে আরেকটা কিনতে পারিনা। পরিবারের মুখে শুধু খাবার তুলে দেয়া'ই এখন কষ্টকর হয়ে গেছে, অন্যন্য চাহিদা পূরণ করা তো অনেক দুরের কথা।

 


রিনা নামক এক বেসরকারি  চাকরিজীবী বলেন সামান্য কয়েক টাকা বেতন পাই। এ টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া , সন্তানদের স্কুল খরচ,  বাজার খরচ দেয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।  ইনকাম বাড়ছে না কিন্তু খরচ ঠিকই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবকিছুর দাম এভাবে বেড়ে গেলে মানুষ কিভাবে টিকে থাকবে; এর জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার আহব্বান জানান তিনি।

 


বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জ এর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে   ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক সেলিমুজ্জামান যুগের চিন্তাকে জানান, ‘আমি এ পর্যন্ত ১১ টি অভিযান পরিচালনা করেছি। বর্তমানে শহরের ডিমের বাজার স্থিতিশীল; মুরগির বাজার স্থিতিশীল।’

 


আমরা ব্যবসায়ীদের  বলে দিয়েছি কত টাকা দিয়ে পণ্যক্রয় করেছে , ‘আর কত বিক্রি করলো এগুলো ক্যাশ মেমো তৈরি করে লিপিবদ্ধ করতে। তাহলে আর পন্যের দাম নিয়ে কারসাজি হবে না।’ তিনি আরোও জানান, ‘আমরা ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা বদ্ধ পরিকর। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’ এন.এইচ/জেসি