সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জেনারেল হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে রোগীরা

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার


# আমাদের যে জেনারেটরটি আছে তা কয়েকদিন ধরে ডিস্টার্ব দিয়েছে: আরএমও


নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া)  হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎতের লোডশেটিং এর কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।

 

 

প্রায়  ৫ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেটিং এর কারণে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় হাতপাখা ব্যবহার করছেন রোগীরা। কেউ কেউ আবার গরমের কারণে বেড ছেড়ে বারান্দায় ঘুরাফেরা করছেন। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।

 

 

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় সিজারিয়ান মা ও নবজাতক অসহনীয় গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে গাইনী বিভাগ ও লেবার ওয়ার্ডের রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এবিষয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সেবিকা (নার্স) জানান, হাসপাতালে জেনারেটরটা নষ্ট, আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা আমাদের বলছে ঠিক করে দেবেন। আমরা ও অন্ধকারে রোগীদের সেবা দিতে পারি না।

 

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহারা বেগমের স্বামী আলিফ হোসেন জানান, দু’দিন আগে স্ত্রীকে এই হাসপাতালে সিজার করেছি। বর্তমানে হাসপাতালে বাচ্চা ও তার মা ভর্তি আছে। কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে বাচ্চা ও তার মা গরমে অসুস্থ্য হয়ে পরছে।

 

 

হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে গেলে কোন জেনারেটর বা আইপিএস এর ব্যবস্থা নেই। তিনি আরও বলেন,  শহরের এমন একটি সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এমন হতে পারে না। হাসপাতালের ৩য় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি একজন রোগী জানান, আমি এই ওয়ার্ডে ৫ দিন ধরে ভর্তি আছি, এখানে দিনে ও রাতে অনেক বার বিদ্যুৎ চলে যায়।

 

 

কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে কোন জেনারেটর এর ব্যবস্থা নেই। এমনিতে আমি অসুস্থ্ মানুষ আবার গরমের কারণে থাকতে পারি না। তার পরে আবার প্রচুর মশা, আমি এখানে এসেছি সুস্থ হতে এখন আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।

 

 

আমরা গরিব মানুষ, টাকার জন্য ভালো কোন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করতে পারি না। তাই সরকারী হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা করার জন্য। এখানে খাবার পানিরও ব্যবস্থা নেই। সকাল ১০টা বাজে বিদ্যুৎ চলে গেছে, এখন দেড়টা বাজে, কখন বিদ্যুৎ আসবে জানি না।

 

 

ডাক্তার বলেছে বিকেল ৫টায় বিদ্যুৎ আসবে, এতোক্ষন কিভাবে থাকব? আমার শরীর খুব খারাপ লাগছে। এ বিষয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টিারিয়া) হাসপাতালের আরএমও শেখ ফরহাদ জানান, ‘হাসপাতালে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হয়।

 

 

কিন্তু আজকে গাছের ডাল কাটার কারণে বিদ্যুৎতের তার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই কারনেই ৩-৪ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে। এছাড়াও আমাদের হাসপাতালে বিদ্যুৎ তেমন একটা যায়না। বিদ্যুৎ গেলেও আমাদের হাসপাতালে কিছু কিছু জায়গায় আইপিএস আছে।’

 

 

জেনারেটর আছে কিনা তা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমাদের যে জেনারেটরটি আছে তা কয়েকদিন ধরে ডিস্টার্ব দিয়েছে। আর একটা জেনারেটর আসছে সেটা ইনফ্লেশন করি নাই। ওটা আমাদের সিড়ির ওখানে রাখা আছে, দু এক দিনের মধ্যে লাগাবে।’  এন.এইচ/জেসি