গ্রীণ বেল ডেইরী র্যান্চের বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:২৮ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
# দুর্ভোগের ব্যাপারে মুখ খুললেই হুমকি-ধমকি দিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর, রসূলভাগ এলাকায় গ্রীণ বেল ডেইরী র্যান্চ নামে আজাদ রিফাত গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই গ্রীণ বেল ডেইরী র্যান্চ একটি গবাদি পশুর খামার কিন্তু এই খামারটির গবাদি পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সরাসরি খামার থেকে ড্রেনে বর্জ্য ফেলছে। যার কারণে খামারের আশেপাশে বসবাসরত মানুষসহ তাদের খামারের পাশে দিয়ে চলাচলরত এলাকাবাসী এই বর্জ্যরে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রীণ বেল ডেইরী র্যান্চ একটি বিশাল গবাদি পশুর খামার যেখানে প্রায় কয়েকশত গবাদিপশু পালন করা হয়। কিন্তু তাদের গবাদিপশুর বর্জ্য ড্রেনে ফেলার কারণে আশেপাশে বসবাস করা মানুষসহ ড্রেনের পাশে রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষ বর্জ্যরে গন্ধে বিপাকে পড়ছে। এই কয়েকশত গবাদি পশুর বর্জ্য নিষ্কাশন করার তাদের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা সরাসরি তাদের খামার পাশ দিয়ে যাওয়া এলাকাবাসীর ব্যবহৃত ড্রেনে এই বর্জ্যগুলো নিষ্কাশন করছে।
জানা যায়, খামার থেকে ড্রেনে অতিরিক্ত পরিমাণে বর্জ্য ফেলার কারণে এই বর্জ্যগুলো ড্রেনের উপর উঠে আসছে। যার কারণে বর্জ্যরে দুর্গন্ধে নাক-মুখ ঢেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। যার কারণে প্রায় সময়ই দেখা যায় বৃষ্টি হলে এই ড্রেন দিয়ে বর্জ্য নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে ড্রেনের পাশের রাস্তাটি বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে ডুবে থাকে। এলাকাবাসীর কোন প্রকার উপায় না থাকায় এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। তারা এই দায়সারা ভাবে দীর্ঘদিন যাবত খামারটি পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু তাদের এই মনগড়া কর্মকান্ডের কারণে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু কেউ কোন রকম প্রতিবাদ করছে না।
নাম প্রকামে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, প্রায় চার বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা পরিচালনা করছে কিন্তু তারা এত বড় একটা গ্রুপ ইন্ডাষ্ট্রি গবাদি পশুর খামার করেছে কিন্তু বর্জ্য সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় ফেলছে না। যতটুকু জানি তাদের বর্জ্য নিষ্কাশনের মোটামোটি ব্যবস্থা থাকলেও নামমাত্র কারণ তাদের খামারের পাশের জনগণের ব্যবহৃত যে ড্রেনটি ভিতরে তাকালেই দেখা যায় তাদের খামারের বর্জ্য।
তাদের খামার পাশ দিয়ে এখন যেতে হলে নাকমুখ বন্ধ করে যেতে হয়। আরেকটি বিষয় বেশী বৃষ্টি হলে এই ড্রেনটি বরে গিয়ে রাস্তার উপর পানি উঠে যায়। কিন্তু তাদের এসব ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে চায় না। কারণ এর আগে দেখা গেছে তাদের এসব কর্মকান্ডের ব্যাপারে যেই কিছু বলছে তাকেই তাদের লোকজন দ্বারা হুমকি-ধমকি লাঞ্ছিত করা হয়েছে।