সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে জনগণ

আরিফ হোসেন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

 

মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের  মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্যাস।রান্না-বান্না সহ একটি সংসারে গ্যাস এতোটাই প্রয়োজনীয় সেটা না থাকলে মানুষের পড়তে হয় চরম-ভোগান্তিতে ।বসতবাড়িতে গ্যাস সংকট দেখা দিলে হোটেল রেস্তোরা গুলোতে একটা বাড়তি চাপ পড়ে।আর যারা বাহিরের হোটেলের খাবার খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তারা দেখা যায় বাড়িতেই মাটির চুলা বানিয়ে বসত বাড়িতে রান্না করছে। আবার কেউ কেউ এলপি গ্যাসের বোতল কিনে এই গ্যাস সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।

 


ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ খুবই পাশাপাশি একটি জেলা এই জেলা সারা বাংলাদেশের মধ্যে ধনী একটি জেলা এই জেলায় কর্মস্থলের জন্য সারাদেশ থেকে এসে এখানে কাজ করে।আর এই জেলায় শিল্প কারখানা মিল ফ্যাক্টরিতে গ্যাসের মাধ্যমে চলে থাকে তাই এই জেলাতে গ্যাসের গুরুত্ব খুব বেশি ।

 


তবে দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ ও তার আশে পাশের থানা এলাকাতে ব্যাপক ভাবে গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার অন্তর্গত যে কয়টি ইউনিয়ন আছে তার প্রত্যেকটি এলাকায় পাড়া মহল্লাতে দিনের বেশির ভাগ সময়ে গ্যাস পাওয়া যায়না এমন অভিযোগ রয়েছে।আর গ্যাস থাকলেও একেবারে না থাকার মতো পানি গরম হতেও ঘন্টা পার হয়ে যায়।

 


বিশেষ করে ফতুল্লা থানার অন্তর্গত কুতুবপুর ইউনিয়নের প্রত্যেকটি এলাকায় ব্যাপক হারে গ্যাসের সংকট দেখা গিয়েছে।বিগত কয়েকদিন যাবত এই এলাকা গুলোতে গ্যাস নেই বললেই চলে।জানা যায় বেশিরভাগ সময়ই তারা এই সমস্যার কারনে বাহির থেকে খাবার এনে খান।

 


এ বিষয় কুতুবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওযার্র্ডের বাসিন্দা গৃহকর্মী হালিমা খাতুন জানান, প্রতি মাসে গ্যাসের বিল পরিশোধ করলেও আমরা আমাদের প্রয়োজনের কাঙ্খিত গ্যাস ঠিকভাবে পাচ্ছি না।আমরা বিভিন্ন সময় বাহিরের খাবার এনে খেতে হয় ।আমরা গ্যাস এর বিল দেই এমনকি এলপি গ্যাস কিনে এনেও রান্না করতে হচ্ছে।আর এই সমস্যার সমাধান কবে পাবো তাও জানিনা।আমরা তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ভাবে জানিয়েছি কিন্ত কোন ধরনের সুফল পাইনি।আর জানিনা কবে আমরা এই সংকট থেকে মুক্ত পাবো।

 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই এলাকায় শুধু বসত বাড়িতেই নয় ফতুল্লার শিল্প কলকারখানা ডাইং মিল গুলোতেও বিভিন্ন সময় গ্যাসের চরম সংকট দেখা যায় ।এর বেশ কিছুদিন আগে গ্যাস সংকটের কারনে ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় বেশ কয়েকটি ডাইং মিল বন্ধ পর্যন্ত হয়ে যায়।আর মিল বন্ধ হওয়াতে অনেক শ্রমিক বেকারও হয়েছেন।তবে এর পরেও গ্যাসের কোন সুফল পাচ্ছেনা  ফতুল্লাবাসী। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের তিতাস কর্মকর্তদের সাথে মুঠোফোনে বারবার যেগাযোগ করা হলেও কোন কর্মকর্তাই ফোন রিসিভ করেননি।

 


তবে বেশ কয়েকদিন যাবৎ দেখা যাচ্ছে তিতাসের কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকাতে অবৈধ যে সকল গ্যাস লাইন আছে তারা তা বিচ্ছিন্ন করছে।

 


কিন্তু সচেতন মহলের অনেকেই মনে করছেন বিভিন্ন এলাকাতে গ্যাসের লিকেজের কারনে এবং বহু বছরের গ্যাসের পাইপের সংস্কার না করার কারনেই হয়তো এতো গ্যাস সংকটের দেখা দেয়।তারা মনে করেন এই সকল কিছুর সমাধান না হলে গ্যাস সংকট কমানো সম্ভব নয়।তাই তিতাস কতৃপক্ষের উচিৎ খুব শিগ্রই এই সমস্যার সমাধান করা ।