পার্কিং নৈরাজ্যে দুঃসহ যানজট
নুরুন নাহার নিরু
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:০৫ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
মার্কেট আছে,গাড়ি আছে কিন্তু নেই পার্কিং। ফলে সড়ক দখল করে গড়ে ওঠেছে অবৈধ পার্কিং ব্যবস্থা। যার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট ও জনদুর্ভোগ। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠেছে নগরীর পথঘাট,অলিগলি। সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা। নিদিষ্ট সময়ে,নিদিষ্ট স্থানে পৌছাতে পারছেন না নগরবাসীরা। শহরে পার্কিংয়ের নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। দিন যত যাচ্ছে সমস্যা তত প্রকট হচ্ছে।
নগরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ভবনেরই নেই পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। যদিও কিছু কিছু ভবনে পাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া সড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেটগুলোর রাখা হয় না পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে মালিকের ইচ্ছা ও চালকের সুবিধার জন্য গাড়ি পার্কিং হিসেবে সড়ককেই বেছে নেন। নগরীর ব্যস্ত সড়কগুলো কিংবা মার্কেটের সামনের রাস্তায় চোখে পড়ে এমন অবৈধ পাকিংয়ের দৃশ্য। ফুটপাত থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে রাখা হচ্ছে গাড়ি।
সুবিধা মতো পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় যত্রতত্র গাড়ি রেখে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকেন চালকরা। সড়ক দখল করে গড়ে তোলেন যেকোনো কার স্ট্যান্ড। যার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বিশেষ করে অসহনীয় ভাবে যানজটের শিকার হতে হয় কর্মজীবীদের। ট্রাফিক পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে প্রায় দুপুর পযন্ত আমাদের ব্যস্ত সময় কাটে কারন সে সময় থেকে যানজট লেগেই থাকে। যানজট থাকার কারনে যানবাহন চলাচলের গতিও কমে যায়।
এছাড়া ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা,প্রাইভেট কার (ব্যাক্তিগত গাড়ি), মোটরসাইকেল ইত্যাদি পার্কিং করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
২নং রেলগেট থেকে শুরু করে ক্লাব মার্কেট পযন্ত প্রাইভেটকারগুলো ইচ্ছে অনুযায়ী অনিয়মভাবে পার্কিং করে রেখেছে। পুরো বঙ্গবন্ধু সড়কের যেখোনে সেখানে গাড়ি থেকে শুরু করে যেকোনো বাহন পার্কিং করছে চালকরা। এছাড়াও পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন ডায়গনস্টিক এর পাশে ঔষধ কোম্পানির লোকেরা মোটর সাইকেল দাড় করিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকেন। যার কারনে ফুটপাত দিয়েও হাটা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে “আমরা নারায়নগঞ্জ বাসী” সংগঠনের সভাপতি হাজী নুরউদ্দিন যুগের চিন্তাকে জানায়, ট্রাফিক বিভাগ ও পুলিশ প্রসাশনের দিকটা তারা যদি সবসময় কার্যক্রম ভূমিকা রাখে তাহলে এটা দূর করা যেতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদী ফল যদি আমরা এটা পেতে চাই তাহলে দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তা আমাদের করতে হবে। যেমন নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকা পযন্ত দিনে ৮ বার যাওয়া আসা করে। যদি চাষাঢ়া থেকে কমলাপুর পযন্ত রেল পথ করলে ভালো হয়। এবং ২নং রেল গেট থেকে চাষাঢ়া পযন্ত যেই রেল পথটা আছে তা যদি সড়ক পথে রূপার্ন্তিত করা যায় তাহলে এই যানজটটা আরো দূর করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি। এটা করা হলে আগামী ৩০ থেকে ৫০ বছর নারায়নগঞ্জ শহরে কোনো যানজট সৃষ্টি হবে না ইনশাল্লাহ।