দুই বন্ধু মিলে গলা কাটে অটোচালক ফেরদৌসের, হত্যাকারী গ্রেফতার
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ক্লু-লেস অটোচালক ফেরদৌস হত্যা মামলার রহস্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে উৎঘাটন করেছে র্যাব-১১। অটোচালকের মূল হত্যাকারী রকিবসহ উক্ত হত্যাকান্ডে সন্দিগ্ধ অপর এক আসামীকেও গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্দর থানার দিঘলদী এলাকা হতে অটোচালক ফেরদৌসের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং-২৪, তারিখ-১২/০৯/২০২২। ঘটনাটি এলাকার স্থানীয় জনমনে ব্যাপক ভীতির সৃষ্টি করে। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ উক্ত হত্যা মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর আভিযানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল হত্যাকারী আসামী মো. রকিব (২০) সহ অপর এক সন্ধিগ্ধ আসামী মো. রাজিব (৩৩) বন্দরের মদনগঞ্জ হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তারা দুইজনই বন্দরের বরুন্দী এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে। র্যাব-১১’র কোম্পানী কমান্ডার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী রকিব তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিবলু এর সাথে একটি অটো চুরির পরিকল্পনা করে। ভিকটিম যে গ্যারেজে তার অটো রাখে সেই গ্যারেজে আসামী রকিব সহকারী হিসাবে কাজ করে। রকিব উক্ত গ্যারেজে অটো ভাঙ্গা ও মেরামতের কাজ করতো। ঘটনার দিন আসামী রকিব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে নিয়ে তার অটোযোগে ঘটনাস্থলে যায় এবং অপর পলাতক আসামি সিবলু তার সহযোগীদের নিয়ে রকিবের সাথে যোগ দেয়।
আসামীরা সকলে মাদক ও উত্তেজকদ্রব্য সেবন করে এবং ভিকটিমকে অন্যান্যদের সহায়তায় আসামী রকিব ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রকিব উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপর এক সন্ধিগ্ধ আসামীকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বন্দরে মিশুক চালক ফেরদৌসকে (১৮) জবাই করে হত্যার পর লাশ ফেলে দিয়ে মিশুক নিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলদীস্থ জনৈক কাজী কাইয়ুম মিয়ার নিঝুম বিটা বাড়ি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় ওই মিশুক চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফেরদৌস বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদিস্থ জাহাঙ্গীর নগর এলাকার দিনমজুর নজরুল মিয়ার ছেলে। নিহতের পিতা দিনমজুর নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গত রোববার বিকাল ৫টায় আমার ছেয়ে ফয়সাল মিশুক নিয়ে বের হয়ে রাতে বাড়ি ফিরে। সোমবার সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলীস্থ জনৈক কাজী কাইয়ুম মিয়ার নির্জন ভিটা বাড়ি থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী।