সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গ্রীণ অনাবিল-মৌমিতার কাছে হার মানলেন ডিসি

এম. সুলতান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার


# গ্রীণ অনাবিল ও মৌমিতা পরিবহনের বেহায়াপনায় অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জবাসী

 
নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর রুটে গ্রীণ অনাবিল ও নারায়ণগঞ্জ-চন্দ্রা রুটে মৌমিতা ট্রান্সপোটের গাড়িগুলো নিয়মিতভাবে চলাচল করছে। এই পরিবহন গুলোর বিরুদ্ধে নগরবাসী ও যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। শহরের যানজট সৃষ্টিকারী যানবাহনগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিবহন হচ্ছে এই দুইটি  ট্রান্সপোর্ট।

 

 

 

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই পরিবহনগুলো। এছাড়া তাদের বেহায়াপনা যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি নগরবাসীর। একে তো নেই রুট পারমিট; তার ওপর আবার রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে যানজটের সৃষ্টি করে ও যাত্রী উঠা-নামা করায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

 



শহরে অবৈধ পরিহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা  গ্রহনের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। কিন্তু কোন অভিযান হয়নি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় আইনের তোয়াক্কা না করে জেলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ফিটনেসবিহীন যানবাহন।

 

 

 

পরিবহন গুলো রুট পারমিট না থাকার পরেও প্রবেশ করছে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র চাষাঢ়ায়। রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে পাকিংয়ে স্ট্যান্ড  করে যানজট সৃষ্টি করছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ  পয়েন্টে।

 

 

 

বেশ কিছু দিন যাবৎ জেলা  ট্রাফিক পুলিশ সোচ্চার হওয়ায় দেখা যায়, কিছু গাড়ির ফিটনেসসহ বিভিন্ন  কাগজ আছে; কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগেই। আর বেশির ভাগ পরিবহনেরই নেই কোন কাগজ।

 

 


এদিকে জানা যায়, মৌমিতার ৩০টি বাসের অনুমোদন নেয়া হলেও চলছে ১২০টির বেশি বাস। আর গ্রীণ অনাবিলতো মানছেই না কোন নিয়ম-কানুন। বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা গেছে, প্রায় কয়েক বছর আগে বিআরটিএ এর কাছে  গ্রীন অনাবিল পরিবহনের কর্মকর্তারা সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়ায় প্রবেশ করার অনুমতি চায়।

 

 

 

কিন্তু বিআরটিএ তাদের এই সড়কে চলাচলের রুট পারমিট দেয়নি। তবে লিখিত অনুমতি পত্র জমা দেয়ার কয়েক মাস পর থেকেই চাষাঢ়ায় প্রবেশ শুরু করে গ্রীন অনাবিল পরিবহন।

 

 


গ্রীণ অনাবিল ও মৌমিতার প্রতি নারয়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পরিবহন নেতাদের টাকা দিয়ে শহরে তারা অবৈধ গাড়ি চলাচল করে। আমি কিছুতেই শহরে অবৈধ যান বন্ধ করতে পারছি না; কারণ ট্রাফিক বিভাগ একবারে চুপ হয়ে গেছে। কারন তারা সবাই নাকি নেতার লোক তাই তাদের মামলা দেওয়া যাবে না।

 

 

 

আর যে পুলিশ মামলা দিবে তাকেই নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়া হতে হয়। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আর বেশি সময় আমরা এ শহরে বাস করতে পারবোনা। তাই সবাইকে আবারো অনুরোধ করছি আপনার শহরে অবৈধ পরিবহন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন; আমি আপনাদের সাথে আছি ।

 

 


বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পরিচালক (ইঞ্জি:) সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী বলেন, ‘গ্রীন অনাবিল পরিবহনের রুট পারমিট সাইনবোর্ড পযন্ত। এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে পরিবহন গুলোকে জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।’ এন.এইচ/জেসি

 

 


নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশ (প্রশাসন) টি আই এডমিন করিম বলেন, ‘রাস্তার মাঝখানে পার্কিং করা  ও ফিটনেস বিহীন গাড়িগুলোকে আমরা নিয়মিত অভিযানে সার্জেন দ্বারা জরিমানার আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছি।’ এন.এইচ/জেসি