স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নারায়ণগঞ্জবাসী; যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
# প্রায় হাজার খানেক অস্বাস্থ্যকর রেস্টুরেন্ট রয়েছে শহরজুড়ে
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে নামে, বে-নামে রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। এ সমস্ত রেস্টুরেন্টগুলো ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে; সরকারি নিয়ম-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের রেস্টুরেন্ট বাণিজ্য যে যার ইচ্ছামাফিক পরিচালনা করছে।
এ সমস্ত রেস্টুরেন্টে কমদামী ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করে গ্রাহকদের কাছ উচ্চমূল্য হাঁকিয়ে নিচ্ছে। এ সমস্ত রেস্টুরেন্ট এর খাবার বাহিরের বিভিন্ন ফ্যামলিতে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে যা পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত এ নিম্নমানের খাবার খাচ্ছে। যা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভরপুর।
আমরা কেন বিভিন্ন রোগে ভুগছি তার আসল কারণ হচ্ছে এ সমস্ত রেস্টুরেন্টের খাদ্যে ভেজাল। এ দিকে দেখা যায় বিভিন্ন বিরিয়ানী দোকানে দেশ-বিদেশের প্যাকিং মাংস, ফ্রিজিং করে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া বিভিন্ন রসালো মসলা দিয়ে ফ্লেবার দিয়ে রুচিসম্পন্ন করে পরিবেশন করছে। যা খেয়ে নানা শ্রেণীর মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে এ সমস্ত রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশন করা মাংসগুলো কখনো শক্ত আবার কখনো তুলার মতো নরম, খেতে মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে। ভোক্তা অধিকার আইনে বিভিন্ন অভিযানে প্রশাসন কর্তৃক জেল জরিমানা থাকা স্বত্বেও এদেরকে রোধ করা যাচ্ছে না।
যেখানে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সে অস্বাস্থ্যকর খাবার হোটেল তথা রেস্টুরেন্ট, চাইনীজ ও কমিউিনিটি সেন্টারগুলো সাধারণ ক্রেতাগণকে খাইয়ে স্বাস্থ্যহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সংশোধনী আইন ২০১৪ এর ৭ ধারা অনুযায়ী যে সকল সরকারী আইন মানা বা থাকা প্রয়োজন। সেখানে ঐ আইনকে তোয়াক্কা না করে তারা ব্যক্তি কেন্দ্রীক প্রভাব খাটিয়ে জেল জরিমানা খেয়ে তারা তাদের আধিপত্য বিস্তার করে হোটেল তথা রেস্টুরেন্ট, চাইনীজ ও কমিউিনিটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য রেস্টুরেন্ট গুলো হচ্ছে-শহরের-হিমালয় রেস্টুরেন্ট, মাউরা রেস্টুরেন্ট, সুগন্ধা+, সুগন্ধ বেকারী, ঢাকা রেস্টুরেন্ট, দি রয়েল রেস্টুরেন্ট, টিউলিপ রেস্টুরেন্ট, ক্রাউন বিফ থাই চাইনীজ এন্ড পার্টি সেন্টার, ক্রাশ স্টেশন, ডাইনিং লাউন্স, গ্রীনভ্যালী, স্মার্ক, ফুডগেজড, কাচ্চি ভাই, কাচ্ছি কনফেকশন, পাখতুন, সিপি ফাইভস্টার হোটেল।
২৬ ওয়েস্ট রেস্টুরেন্ট, ভূতের বাড়ি, ইম্পায়ার কমিউনিটি সেন্টার, সিনামন রেস্টুরেন্ট, গ্রান্ড ফ্যাসিফিক, হাজী বিরিয়ানী, পালকি কমিউনিটি, মুঘল-ই-আজম, সুইট নেশন, বৈশাখী রেস্টুরেন্ট, হোয়াইট হাউজসহ নানা ধরনের ছোট, বড়; পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে হাজারো রকমের রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি।
এছাড়াও শহরের অলি-গলিতে ভরপুর অস্বাস্থ্যকর খাবার ও মিনি রেস্টুরেন্ট যথা-২নং রেলগেইট এলাকা, ৫নং ঘাট, চারারগোপ, সিরাজদৌলা রোড (মাজার বিপরীত), খানপুর হাসপাতালের সামনে নামে-বেনামে রেস্টুরেন্ট এর ছড়াছড়ি, খানপুর রাসেল পার্ক, জিমখানা, চাষাড়া শহীদ মিনার কেন্দ্রীক চর্তুপার্শ্বে এ সমস্ত অস্বাস্থ্য ভেজাল খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে। কলেজ রোড, জামতলা এলাকায় গড়ে উঠেছে শতশত রেষ্টুরেন্ট যা সম্পূর্ণরূপে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভরপুর।
বিশেষ করে আমাদের দেশে করোনা মহামারির পর যেখানে বিশ্ববাসী সচেতন। সেখানে এই সমস্ত হোটেল তথা রেস্টুরেন্ট, চাইনীজ ও কমিউিনিটি অসচেতনভাবে তাদের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত যদি প্রশাসনিকভাবে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে দেশে তথা নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে, বিশেষজ্ঞরা মতামত প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে অভিভাবকদের মতামত তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী অনেক সময় বাসা থেকে অভুক্ত অবস্থায় চলে যায়, পরবর্তীতে তারা এ সমস্ত হোটেল তথা রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ ও কমিউিনিটিগুলোতে খাবার খায়।
যা খেয়ে পরবর্তীতে তারা অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হলে চিকিৎসক বলেন, বাহিরের বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট এর খাবারের কারণে বেশীরভাগ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। তবে এব্যাপারে প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির আহবান জানান, নারয়ণগঞ্জবাসী ও ভুক্তভোগী সকলেই। এন.এইচ/জেসি