ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:৩৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২ রোববার
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দিনব্যাপী যানবাহনের চাপ না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়ক থেকে সব চেকপোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, যানচলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছেন কর্মজীবী লোকজন। গত ৭ নভেম্বর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে যাত্রীদের তল্লাশি করে আসছিল পুলিশ। এদিকে, শুক্রবার পর্যন্ত দূরপাল্লার বাস চললেও আজ বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
অনেক কর্মজীবী মানুষ তাদের অফিসে যেতে পারেননি। কেউ আবার বেশি ভাড়ায় ছোটখাটো পরিবহনে চলাচল করেছেন। তবে তাদের মূল ভরসা ছিল অটোরিকশা। এ বিষয়ে কথা হয় আব্দুল জব্বার নামে বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা অন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। একটু কিছু হলেই চাকরি হারানোর ভয় থাকে। আমার অফিস টাইম ছিল সকাল ৮টায় সেখানে ৯টা ৩০ মিনিটে পৌঁছেছিলাম। তবে কাজ শেষে ফেরার সময় গাড়ি পেয়েছি।
কাঁচপুরের বাসিন্দা সালমা ইসলাম নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, আমি আদমজী ইপিজেডে চাকরি করি। আমাদের অফিসে ৮টার মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। তবে আজ সকালে যা একটা ভোগান্তিতে পড়েছি বলার মতো না। এখন আবার দেখতে পেলাম গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই এ কে এম শরফুদ্দীন বলেন, সড়কে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় তাই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যানবাহন চলাচলে আমরা কোনো বাধা দিইনি। যানচলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তল্লাশি চালিয়ে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আজ সকালে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম ছিল। তবে সন্ধ্যার দিকে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। আমরা মহাসড়ক থেকে সব চেকপোস্ট ও পুলিশ সরিয়ে নিয়েছি।