সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তিন মাসে কুকুরের কামড়ে শুধু ভিক্টোরিয়ায় সাড়ে ৪ হাজার রোগী

হাসিবা নিঝুম

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

 

# কুকুর নিয়ে আতঙ্ক কিন্তু সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ
# সিটি করপোরেশনের জন্য এখন ভ্যাকসিনে বরাদ্দ নেই : মোস্তফা আলী

 

নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা। প্রতিটি এলাকার অলি-গলিতে রয়েছে দলে দলে কুকুর। গত সেপ্টেম্বর মাসেই ১০০শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৭ জন, যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। গতকাল সরেজমিনে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে দেখা যায়,সকাল থেকে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘ লাইন।

 

জানা যায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০জন কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে আবার বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক জানান, গত ৩ মাসে প্রায় ৪ হাজার রোগী কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৯২৭, অক্টোবর মাসে ১২৩৯, নভেম্বর মাসে ১২৯০ ও চলতি ডিসেম্বর মাসে এই পর্যন্ত ৮৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন এএফএম মশিউর রহমান বলেন, সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়ে বলতে পারবেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে, তাহলে কুকুর কামড়ালেও কোনো ক্ষতি হবে না। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার শেখ মোস্তফা আলী বলেন, সেন্টার কল ডিফেন্স কন্ট্রোল সেখানে কুকুরকে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, আমাদের এখানেও দেওয়া হয়েছে। এটা প্রতিবছর দেওয়া হয় এ বছর ও দেওয়া হবে।

 

বর্তমানে এটা ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ, গাজীপুর এলাকায় এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি বাংলাদেশের কয়েকেটি সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকাতে শুরু হয়েছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনও হয়তো পাবে। তিনি আরও বলেন, জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন আগে আমাদের পৌরসভায় আমলে বরাদ্দ ছিল, এখন সেটা নেই। এখন সেটা সরকারি হাসপাতালের বরাদ্দে চলে গেছে। সরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন গুলো দেওয়া হয়।

 

আমাদের এখানে ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকলে ভালো হতো, তাহলে আমরা দিতে পারতাম। এবিষয়ে ভ্যাকসিন নিতে আসা কয়েকজন জানান, এলাকায় কুকুরের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ১০/১২টি করে কুকুর থাকে। আগে কুকুরকে ধরে ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া হতো, এখন সেটা আরও দেওয়া হয় না। ছোট-ছোট বাচ্চারা কুকুরের ভয়ে সড়কে বের হতে পারে না। সিটি-করপোরেশন থেকে কুকুরকে ধরে ভ্যাকসিন দেয়া জরুরী।    

এস.এ/জেসি