ভুঁইগড় মাহমুদপুরে অবৈধ কয়েল কারখানার ছড়াছড়ি
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
# লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : সি.সহকারী কমিশনার
সারা বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্প নগরী এলাকা।এই জেলা দেশের মধ্যে ধনী জেলা হিসেবে পরিচিত। শিল্প নগরী জেলা হওয়ার কারণে এই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ব্যাপক ভাবে গড়ে উঠেছে মেইল ফেক্টরী ,গার্মেন্টস সহ অসংখ্য কলকারখানা । আর দেখা গেছে বেশিরভাগ কলকারখানা গুলো কোন ধরনের অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য তৈরী করে তারা বাজারজাত করছে। তেমনি কিছু অবৈধ কয়েল কারখানা গড়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের পূর্ব মাহমুদপুর কবরস্থানের চারপাশ ঘিরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল আবাসিক এলাকায় ভিতরে সারি সারি এই কয়েলের ফেক্টরি।আর এই কয়েলের বিশাক্ত কেমিক্যালের ধোঁয়া পুরো এলাকার ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় সাধারণ মানুষ এই সকল অবৈধ কয়েক কারখানা মুক্তি পেতে চায়।
জানা যায়, এই সকল কয়েল কারকাখাগুলো কোন ধরনের নিয়মনীতি না মেনে কোন ধরনের কাগজপত্র বা লাইসেন্স না করেই বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। শুধু তাই নয় কিছুদিন পরপরই তাদের এই অবৈধ কারখানা গুলোতে ঘটতো অগ্নিকাণ্ড আর এই সকল অগ্নিকাণ্ডের কারনে আশেপাশের অনেক বাড়িঘরের ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখিন হেেত হয়েছে। এখন এই সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের এই অবৈধ ব্যবসা স্থায়ীভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার চুক্তির চেষ্টা চলছে এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় এক ভুক্তভোগী জানান, তাদের এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে আছি। এলাকার সাধারণ মানুষ অনেকটাই আতঙ্কের মধ্যে আছে কারণ এর আগে বেশ কয়েকবার আগুল লেগে আশেপাশের কয়েকটা বাড়িতে ক্ষতিসাধন হয়েছে। আর এই সকল কয়েলের বিষাক্ত কেমিক্যাল এর দুর্গন্ধ ও বিকট শব্দের কারণে এই এলাকার মানুষ প্রতিদিনই কাটে অসহ্য যন্ত্রণায়। তাই আমাদের দাবি এই সকল অবৈধ কয়েল কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে সেখানকার একজন অবৈধ কয়েক ফ্যাক্টরীর মালিক রব মিয়া জানান, আমার এই কয়েক ফ্যাক্টরীর কগজপত্র সব কিছুই আছে কোন ধরণের সমস্যা নেই। আর আমার ফ্যাক্টরী দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ আছে যারা বলেছে আমরা গ্যাস নেওয়ার জন্য চুক্তি করেছি সেটার প্রমাণ দিতে বলেন। আপনারা হয়তো জানেন নতুন গ্যাস সংযোগ একেবারে বন্ধ তাহলে কি করে আমরা চুক্তি করবো।এই এলাকায় বর্তমানে বাসা বাড়িতেও গ্যাস নেই। আমরা কাঠ পুড়িয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে গ্যাসের কোন কারবার নেই।
এবিষয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার নুশরাত আরা খানম বলেন, এই সকল বিষয়ে আমাদের কাছে অনেক তথ্য রয়েছে। তবে কেউ যদি জেলা প্রশাসনের বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে তাহলে আমরা সেই সকল অবৈধ ব্যবসায়ীদের রিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এস.এ/জেসি