সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফতুল্লায় গ্যাস দূর্ভোগে কয়েক লাখ মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার

 

# গ্যাসের চুলার বদলে লাকড়ির চুলাই সম্বল
#তবে প্রতি মাসেই গুনতে হচ্ছে গ্যাসের বিল

 

 

গ্যাসের বদলে মাটির চুলায় বসিয়ে রান্না করছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের  বাসিন্দা রহিমা বেগম । লাইন গ্যাসের বিল প্রতি মাসে পরিশোধ করলেও দীর্ঘদিন যাবৎ কষ্ট করে লাকড়ির চুলা ব্যবহার করে রান্না করছে। আবার কারো কারো বাহিরে থেকে হোটেল থেকে কিনে এনে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়। আবার কিছু কিছু সময় রান্নাও করা সম্ভব হয়না। গ্যাস না থাকার কারনে এই এলাকার মানুষ অনেকটা বেকায়দার মধ্যে রয়েছে। তবে এই গ্যাস না থাকার কারনে বাড়ছে সকল পরিবারের বাড়তি ব্যয়। কেউ কেউ আবার লাকড়ি টাকা জোগার করতে না পেরে না খেয়েই ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। এদিকে রহিমা বেগম আরও জানান, সংসারে ৭ জন সদস্যের রান্না করতে প্রতি বেলাতে লাকড়ির জন্য বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে বাড়িওয়ালাদের বাড়তি ভাড়া আর মাটির চুলায় রান্নার খরচ এখন আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে এখন আমাদের এই কষ্টের কথা শোনার মতো কেউ নাই।

 

এদিকে বাড়িওয়াদের সাথে কথা হয়েছে এ বিষয়ে তারা জানায়, শুধু ভাড়াটিয়ারাই সমস্যার মধ্যে তা কিন্ত না আমাদেরও এই সমস্যার সম্মুখিন হওয়া লাগতেছে আমরাও মাটির চুলায় রান্না করি। আর গ্যাস না পেলেও প্রতি মাসে গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হয়। তাই এখানে আমাদের আর কিছুই করার থাকেনা।আমরা তিতাস কর্মকর্তাদের সাথে বার বার এ বিষয়ে কথা বলেছি কিন্ত আমরা তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সারা পাইনি। এলাকার অনেক লাইন পুরোনো যা তারা সেটা মেরামত করেনা। অনেক অনেক লাইন থেকে গ্যাস প্রতিনিয়তই বের হচ্ছে কিন্ত তারা প্রতিমাসে বিল নিলেও গ্রাহকদের সেবা দিতে তারা পুরোপুরো ব্যর্থ। দীর্ঘদিন যাবৎ এই গ্যাসের সমস্যার কারনে আমরা অনেকটাই ক্ষতিগ্রাস্থ। আমরা চাই খুব দ্রুত এই গ্যাস সমস্যার সমাধান করা হোক তা  না হলে আমরা এলাকাবাসী গ্যাস অফিস ঘেরাও করবো।

 

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রায় ১০ লক্ষ অধিকের মানুষের বসবাস আর এই এলাকার মানুষ মাসের পর মাস গ্যাস বিছিন্ন হয়ে আছে। যাও মাঝে মাঝে আসে সেই গ্যাসের দ্বারা পানি পর্যন্ত গরম হয়না। তাই এই এলাকার মানুষ একটা সুষ্ঠু সমাধান চায়। এ বিষয়ে জানতে তিতাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি এমনকি কোন কোন কর্মকর্তাকে বার বার ফোন করলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেননি।

 

অন্যদিকে বেশ কয়েক বছর পার হলেও এখনো চালু করা হয়নি নতুন ভাবে গ্যাসের সংযোগ। যারাই নতুন করে বাড়িঘর নির্মান করছে তারা কেউই গ্যাস সংযোগ পাচ্ছেনা। তাই তাদেরকে অনেকটা বাধ্য হয়েই এলপি গ্যাসের ব্যবহার করতে হচ্ছে। আর বর্তমানে এলপি গ্যাসের বাড়তি দামেও সাধারন মানুষের অবস্থা একেবারেই নাকাল।

এস.এ/জেসি