শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের ১৩ জন এসএসসি পরিক্ষার্থীর ফরম পূরণ অনিশ্চিত

আবদুস সালাম

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার

 

নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের ১৩ জন এসএসসি পরিক্ষার্থীর ফরম পূরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সব শিক্ষার্থীর ফরম পূরনের বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা গত দুই দিন ধরে এই সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা সকাল সন্ধ্যা স্কুলে অবস্থান করেও তাদের সন্তানদের পরিক্ষার ফরম পূরনের বিষয়ে অনিশ্চিতায় মধ্যে সময় কাটাচ্ছে।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরিক্ষায় নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ৩২৬ জন পরিক্ষার্থী অংশ গ্রহন কারার কথা ছিল। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের গ্রহনকৃত টেষ্ট পরিক্ষায় মাত্র ১১৯ জন উতিন্ন হয়। পরবর্তিতে অনুউত্তির্ন ২০৭ জন পরিক্ষার্থীকে প্রতি বিষয়ে ৩০০ টাকা করে নিয়ে তাদের রিটেষ্ট গ্রহণ করে ১৪০ জনকে উত্তীর্ণ করে।

 

 

পরবর্তিতে আরেকবার রিটেস্ট নিয়ে ৩০ জনকে উত্তির্ন করেছে। তাদের কাছ থেকেও প্রতি বিষয়ের জন্য ৩০০ টাকা করে ফি আদায় করে। এর পরেও অনুত্তির্ন আরো ১৩ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় ফরম পূরনের জন্য অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়। গতকাল সোমবার অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ১৩ জন পরিক্ষার্থীর কাছ থেকে আবারো ৩০০ টাকা করে পরিক্ষার ফি আদায় করা হয়।

 

 

এদিকে মঙ্গলবার সকালে অশিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন ৮ জানুয়ারী ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধিনে ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষর্থীদের ফরম পূরন শেষ হয়ে গেছে। তাদের সন্তানদের ফরম পূরন এবং ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 

 

অপর একজন অভিভাবক জানান, তিনি ৮ জানুয়ারী সোমবার স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চন্দন শীলকে অবহিত করলে তিনি তাংক্ষণিকভাবে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে ১৩ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরনের নির্দেশ দিলেও অজ্ঞাত কারনে তাদের পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের ফরম পূরন না করে আগামি বৃহস্পতিবার পূনরায় তাদের রিটেস্ট নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে অভিভাবকদের জানান।

 

 

তিনি অভিভাবকদের জানিয়েছেন, স্কুলের পরিক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এবং সাথি সাহা সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে নতুন করে রিটেস্ট নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এর বেশী কিছু তিনি জানেন না। তবে তিনি জানান, এই ১৩ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও তারা চেষ্টা করবেন বোর্ড থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে তাদের পরিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করার চেষ্টা করবেন।

 

 

একজন অভিভাবক জানান, বোর্ড এর নির্দেশ অমান্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুত্তির্ন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিটেস্ট বাবদ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা অফিসিয়াল রিসিট দিয়ে আদায় করেছে। অথচ বোর্ডের নির্দেশনা রয়েছে, কোন রিটেষ্টে শিক্ষার্থীও কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।