কিউলেক্স মশায় যেসব রোগের ভয়
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
নগরীর প্রতিটি এলাকাতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। শীত ও তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে মশার উপদ্রব বাড়ে। এই সময় বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় বছরের অন্য সময়ের তুলনায় মশা অনেক বেড়ে হয়। বর্তমান সময়ে যে মশাগুলো রয়েছে তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ কিউলেক্স মশা।
কিউলেক্স প্রজাতির মশা ড্রেন, ডোবা, নর্দমা এবং পচা পানিতে হয়। এই মশা প্রায় দুই কিলোমিটার উড়ে রক্ত খাওয়ার জন্য আসতে পারে। কিউলেক্স মশার প্রার্দুভাব হয় সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। কিউলে´ মশার কামড়ের ফলে সাধারণত ফাইলেরিয়া ছড়ায়। এছাড়া ফাইলেরিয়াকে স্থানীয় ভাবে গোদ রোগও বলা হয়।
কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া ছাড়াও এনকেফালাইটিস রোগও ছড়ায়। এ রোগে মানুষের হাত- পা এবং অন্যান্য অঙ্গ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যায়। বিশেষ করে পা দুটি অসমভাবে ফুলে যায়। যদিও বাংলাদেশের গোদ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা কম। কারন কিউলেক্স মশা প্রায় ১০ হাজার বার কামড়ালে এই রোগ হয় গোদ রোগ সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো পরজীবী নিবারক বা আ্যান্টি প্যারাসইটিক ঔষধ প্রয়োগ করা।
এই ঔষধ পরজীবীগুলো যখন লার্ভা অবস্থায় থাকে তখন সেগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এবং প্রাপ্তবয়ষ্ক জীবানুগুলোকে বাড়তে দেয় না। আবার এই ঔষধ গ্রহনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। মশার বিস্তার ধ্বংসের মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
এছাড়া চারপাশে ভালো ভাবে মশা মারার ঔষধ ছিটানো। সন্ধ্যার পর দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা এবং এক ধরনের মলম রয়েছে যেগুলো শরীরে মাখলে মশা কামড়ায় না। এগুলো ব্যবহার করা। মোটকথা মশা নিধন করা সম্ভব হলেই গোদ প্রতিরোধ করা সম্ভব। মশা বাহিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার আগেই সর্তক হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ আক্রান্ত হওয়ার পর সঠিক সময় মতো চিকিৎসা গ্রহন না করলে মৃত্যু থেকে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্ক থাকে। তাই মশার কামড় থেকে রক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই। সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে ফাইলেরিয়ার ঔষধ বিনা মূল্যে বিতরন করার কারণে বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এন.এইচ/জেসি