ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত
নুরুন নাহার নিরু
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
আজ পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের শুরু আজ। বাংলায় বসন্ত মানেই পূর্ণতা। গাছে গাছে নতুন পাতা আর আমের মকুল দেখেই বোঝা যায় ঋতুর রাজা বসন্ত চলে এসছে। তবে বসন্ত আগমনের পাশাপাশি আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। দোলে প্রেমের দোলন চাপাঁ হৃদয় আকাশে, যখন তখন। এই বসন্ত মানেই প্রাণ চঞ্চলতা।
বারো মাসে তেরো পার্বণের বাঙালি জীবনে একই দিনে দুই আনন্দ। পূবে পহেলা ফাল্গুন পালিত হতো ১৩ই ফেব্রুয়ারিতে। তবে সময় পাল্টে গত দুবছর ধরে ভালোবাসা দিবস এবং বসন্ত একসাথে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে পালিত হচ্ছে। ফাল্গুনের বাসন্তি আবাহ আর ভালোবাসা দিবসের লাল মিলেমিশে যোগ করেছে বসন্ত বরণ। এক কথায় ভালোবাসায় মাখামাখি এক বসন্ত।
ফাল্গুনের হাওয়ার দোল লেগেছে প্রকৃতিতে। নতুন রূপে সেজেছে ঋতুরাজ বসন্ত। মৌমাছির গুঞ্জন আর কোকিলের গান শুনে ভোর বেলায় ঘুম ভাঙ্গার দিন আজ। অলৌকিক স্পর্শে ফুটে ওঠেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া সহ কতশত ফুল। লাল ও বাসন্তী রঙের নানা সাজে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে আজ সেজে ওঠবে বাঙালিরা।
বসন্তে নানা ফুল ফুটলেও গাদাঁ ফুলের রঙকেই পোশাকে ধারন করে তরুণ-তরুণীরা। খোপায় শোভা পায় গাদাঁ ফুলের মালা। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ফুল দিয়ে গোল ব্যান তৈরি করে মাথায় পরে তরুণীরা। কারোও আজ হারিয়ে যেতে নেই মানা। এছাড়া বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যাবে না গ্রাম বাংলায় জীবনও।
বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে আধুনিক কালের বাউল-কবির মনেও বার বার দখিনা হাওয়ার দোল দিয়েছে ঋতুর রাজা বসন্ত। তাই তো কবি বলেছে, সে কি আমায় নেবে চিনে, এই নব ফাল্গুনের দিনে...।
আর রইলো ভালোবাসা দিবস। সে তো এক রূপকথার দেশ যেন। বসন্তে মন উতলা হয়, মনে প্রেম জাগে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হয় ভালোবাসা দিবস। প্রচলিত ইতিহাসটি হচ্ছে রোমের ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের। তিনি ছিলেন মানব প্রেমিক ও খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক। রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বসী।
সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বরাবর খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে; সেই থেকেই দিনটির শুরু। এন.হুসেইন/জেসি