রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করলেন ফরিদা আক্তার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৪৯ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার

 

# ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধি রঙে রঙিন’
 

‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধি রঙে রঙিন’ এই স্লোগানে নারায়ণগঞ্জের ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রাঙ্গণে কেক কেটে পালিত হয়েছে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন।

 

 

শুক্রবার ১৭ মার্চ সকালে ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে’ প্রধান অতিথি ও আলোচক বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন নারী গ্রুপ কমান্ডার ফরিদা আক্তার এর উপস্থিতিতে চিত্রাংকণ, দেয়ালিকা তৈরি, রচনা প্রতিযোগীতাসহ কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীতানুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।  

 

 

“আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মদিন এবং ১০৩তম জন্মবার্ষিকী। বার্ষিকী আর জন্মদিন নিয়ে আমাদের মধ্যে খানিকটা অস্পষ্টতা আছে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। সে হিসাব অনুযায়ী আজ বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী কিন্তু যাত্রা শুরু হলো বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটি নতুন বছরের।

 

 

ফলে, আজ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন”, নারায়ণগঞ্জ শহরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কথা গুলো বলছিলেন, প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার।

 

 

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার বয়স যখন ১০; তখন নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি বালুর মাঠে একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে একটি বক্তব্য দেয়ার সুযোগ বা সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। সেদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তখন আমার বক্তব্য শুনে ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে আমাকে বঙ্গবন্ধু কাছে ডেকে নেন এবং ‘নারায়ণী’ বলে সম্বোধন করেন। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুর কাছে আমি হয়ে গেলাম নারায়ণগঞ্জের ‘নারায়ণী’।

 

 

এই মহিয়সী বলেন, তোমরা কী জানো; বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম ছিল “খোকা’। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলজীবনেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। কৈশোরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকার সময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় প্রথম কারাবরণ করেন তিনি।

 

 

আমার মনে পড়ে, আমি নারায়ণগঞ্জ গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলাম, আমি (বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ‘নারায়ণী’) তখন থেকেই জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বেড়াতাম। তখন থেকেই আমি নারায়ণগঞ্জে পরিচিতি লাভ করি। তিনি বলেন, আজকের প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হলে, একটি জাতির বেড়ে ওঠার সঠিক ইতিহাস জানাতে হলে, তাকে বঙ্গবন্ধুর জীবন, দর্শন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

 

 

তোমরা যারা নতুন প্রজন্ম, এদেশের ভবিষ্যৎ কারিগর, আসো আজ ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা সকলে মিলে শপথ করি, আমরা সুন্দর ও সুশৃঙলভাবে নিজের জীবন গড়বো এবং বিশে^ও বুকে বাঙালি জাতির মুখ উজ্জল করবো। পরবর্তীতে আজকের অনুষ্ঠানে আয়োজিত চিত্রাংকণ, দেয়ালিকা তৈরি ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

পরিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার কবির ভাষায় বলেন, 'যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা/গৌরী, যমুনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার/শেখ মুজিবুর রহমান।' কবি ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায় যাকে ঘিরে কবিতার মতো এই সত্যকথন রচনা করেছেন, বাংলাদেশ আজ গভীর শ্রদ্ধা ও অবনত মস্তকে স্মরণ করছে সেই মহান নেতাকে।

 

 

যার হাত ধরে এই ভূখণ্ডে রচিত হয়েছে বিস্ময়কর এক ইতিহাস। হাজার বছরের পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে নতুন এক রাষ্ট্র। বাঙালি পেয়েছে জাতিসত্তার পরিচয় ও অধিকার।  এন.হুসেইন/জেসি