রমজানে জমে উঠেছে ইফতার বাজার
হাসিবা নিঝুম
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার
বছরঘুরে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওকাত নিয়ে আবার ফিরে এলো মাহে রমজান। গতকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হলো পবিএ মাহে রমজানের প্রথম রোজা।
পবিএ মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে রেস্তোরা, হোটেল গুলোতে চলে প্রতিযোগিতা মূলক আয়োজন। ইফতার বিক্রিতে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে দোকানপাট, রেস্তোরা ও হোটেল গুলো।
ইফতার ব্যাবসায়ীরা জানান, সারাদিন রোজা রাখার পর বাহারি ইফতারে আগ্রহ থাকে রোজাদারদের তাই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ভাবে ইফতারের ডেকোরেশন করেছেন তারা। এবারের প্রথম রোজা ছুটির দিন থাকায় ইফতার বিক্রিতে ব্যাপক চাহিদা বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরা গুলো ঘুরে দেখা যায়, ইফতার ব্যাবসায়ীরা রমজানের এই এক মাসকে কেন্দ্র করে হোটেল ও রেস্তোরার সামনে টেবিল বিছিয়ে বাহারি রকমের ইফতার বিক্রি করছেন তারা।
সেখানে তারা পেয়াজু, আলুর চপ ও বেগুনী ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন এবং ছোলা বুট ভুনা প্রতিকেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
এছাড়াও তারা হালিম, মাঠা, ডিম চপ, শাশলিক, চিকেন শর্মা, বোরহানি, মুড়ি, ফিরনী, সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, চাপ, টিকা কাবাব, শাহী জিলাপি, বম্বে জিলাপি, রোস্ট, দই, লাচ্ছি, পোরোটা ও নানা ধরনের সরবত সহ ইফতারের পসরা নিয়ে বসেন তারা।
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের পাশাপাশি ঐতিয্যবাহী খাবারের প্রতিও নগর বাসীর আগ্রহ থাকে। আর এসব ইফতার বিক্রির জন্য সকাল থেকে প্রস্ততি নেয় ইফাতার বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে মনির রেস্তোরার এক বিক্রেতা যুগের চিন্তাকে জানায়, সারাদিন রোজা রাখার পর বাহারি ইফতারের আগ্রহ থাকে রোজাদারদের। চাহিদা অনুযায়ী উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করে থাকি আমরা।
তাছাড়াও রেগুলারের আলুর চপ-বেগুনী তো থাকেই। বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রোজার মাসে। রমজান মাসে ইফতার বিক্রি লাভ জনক তাই প্রতিবছরে এই আয়োজন থাকে।
এ বিষয়ে একজন ক্রেতা বলেন, রোজা রাখার পর পরিবারের সদস্যরা ইফতার বানানোর যেই জামেলা তা করতে চায় না। সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে যায় তাই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। সবকিছুর দাম বেশি বেশি রাখছে বিক্রেতারা।