রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্ততরীর মুক্ত ইফতার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৩ বুধবার

 

রমজান মাসে মুসলিম দের সারাদিন রোজা রাখার পর অতিগুরুত্বপূন্য একটি সুন্নাত হলো ইফতার। ইফতারের মাধ্যমে সারাদিনের উপবাস ভঙ্গ করেন মুসলিমরা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের সমাজে অনেক অসহায় মানুষ আছেন যারা আর্থিক কারণে ইফতারের সময় ইফতার করতে পারেন না।

 

 

সামান্য কিছুদিয়ে ইফতার সেরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আসা করেন। আবার সময় হয়ে গেলেও অনেক পথচারী আছেন সময় মত বাড়ি ফিরতে পারেন না যার ফলে ইফতারটা বাইরে করে নিতে হয়। এসব রোজদার ব্যক্তিদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ইফতারের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জের মুক্ততরী সংগঠন। যার নাম দেওযা হয়েছে মুক্ত ইফতার।

 

 

মুক্ত ইফতারের এই আয়োজন করা হয়, নারায়ণগঞ্জের জামতলা এলাকার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। তারা মাইকে ডেকে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের এই মুক্তইফতারে ইফতারের ব্যবস্থা করেন। পথচারী, পথশিশু, রিক্সাচালক, দিনমজুর, ভিক্ষুক, অসহায় মানুষ অথবা যেকোনো পেশার মানুষই হোক সবার জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। যারা কোনো কাজে বের হয়ে সময় মতো বাড়ি ফিরতে পারেন না তারাও এই ইফতারে শরিক হয়। এমন কি শারিরীক ভাবে যারা অক্ষম তাদের নিয়ে এসে ইফতার করানো হয় এই মুক্ত ইফতারে।

 

 

ইফতারের সময় হয়ে আসলে মুক্ততরীর সদ্যসরা ইফতারের আয়োজন করতে থাকেন। মাগরীবের আজানের সাথে সাথে সবাই একসাথে ইফতার করে ফেলেন। গত বছর থেকে তাদের এই কায্রক্রম তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নিজ অথায়নে । তাদের সংগঠনে প্রায় ২০০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ আর্থিক সাহায্যর ফলে এই মুক্তইফতার আয়োজন করেন তারা।

 

 

মুক্তইফতারের ইফতার করতে আসা রহিমা বলেন, প্রতিদিন এখানে তারা ইফতার খাওয়ায় আমাদের। আমি সামান্য একজন মানুষ সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে আমার জীবন চলে। আজকে পেট ভরে ইফতার করেছি। আল্লার কাছে দুহাত তুলে তাদের জন্য দোয়া করি।

 

 

এবিষয় মুক্ততরীর সাধারন সম্পাদক শ্রীপন রয় যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য মত অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এখানে আমাদের যারা সদস্য আছেন তারা সবাই শিক্ষার্থী আর কিছু সংখক লোক নানান পেশায় জড়িত। এসব মানুষদের জন্য কিছু করতে পেরে নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগে।

 

 

মুক্ততরী সংগঠনের সভাপতি প্রীতম কুমার দাসের কাছে এমন দুঃসাহসিক কাজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন, মানব সেবার মাঝে মানসিক একটা শান্তি পাওয়া যায়। আমরা সবাই মিলে আমাদের আসে পাশের মানুষদের সেবা করার চেষ্টা করছি। ইফতারের আয়োজন ছাড়াও আমরা এসব অসহায় মানুষের জন্য সাড়া বছর কাজ করে থাকি। এন.হুসেইন/জেসি