রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোজায় বাড়তি ফলের দাম

তানজিলা তিন্নি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার


বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় রমজান মাসে ফলের চাহিদাটা তুলনামূলক ভাবেই একটু বেশি থাকে। সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে সবাই চেষ্টা করে একটু ফল রাখার। আর দাম চড়া থাকার ফলে ইফতারের প্লেটে ফল উঠছে কম। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর রমজানে ফলের বাজার একটু বেশি চড়া বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

 

 

ক্রেতাদের অভিযোগ রোজায় ফলেন চাহিদা বাড়তি থাকায় ব্যবসায়ীরা ফলের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, ফলের দাম তুলনা মূলক ভাবে রোজার শুরু দিকে একটু বাড়লেও বর্তমানে দাম একটু কমেছে। শুরুর দিকে বেচা কেনা একটু বেশি থাকায় প্রতিবছর ফলের দাম একটু বাড়তি থাকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

 

গতকাল বুধবার শহরের খুচরা ফলের বাজার ফলপট্টি ঘুরে দেখা যায়, রমজান মাস অনুযায়ী ফলের দোকানে ক্রেতাদের ভির কম। প্রতিটি ফলের দোকানে নানা রকম ফলের বাহার তবে ভিড় নেই দোকানে। ফলের বাজারে ফলের সরবরাহর কোনো ঘাটতি না থাকায় ফলের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার রোজার আগে থেকেই একটু চড়া থাকায় মানুষ ফল কিনছেন কম।  

 

 

ফলপট্টির একজন ফলব্যবসায়ী আমিনুল হক বলেন, রমজান মাস অনুযায়ী বেচা কেনা যেমন হবার কথা তেমন হচ্ছে না আর ফলের দাম একটু বাড়তি থাকায় ক্রেতারাও ফলকিনতে তেমন স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না। আমাদের ও চড়া দামে ফল পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনতে হয় যার ফলে আমরা পাইকারীদাম অনুসারে ফলবিক্রি করি ।

 

 

একইস্থানের আরএক দোকানীর সাথে কথা বলে জানা যায় ফলের বাজার আগের মতোই আছে কিছু কিছু ফলের দাম একটু বাড়লেও প্রায় সব ফলের দাম আগের মতোই আছে। আর বেচা কেনা রোজার আগে যেমন ছিল প্রায় একই রকম আছে। নারায়ণগঞ্জের ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায় একটু ভিন্ন চিত্র।

 

 

লাল আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় যা রোজার আগে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৪০ টাকা দরে । প্রতি কেজি সবুজ আপেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা যাগে বিক্রি করা হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। কমলার কেজি প্রতি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে যা রোজার আগে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হতো।

 

 

আঙুর ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও লাল আঙুর ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাল্টার কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা আর আগে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করা হতো। নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্যদিকে আনার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। মাঝারি ও বড় আকারের প্রতিটি আনারসের দাম ৪০ থেকে ৭০ টাকা। তরমুজ প্রতি পিচ রাখা হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। সবরী কলার দাম বেশ চড়া। প্রতি ডজন সবরী কলা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় চলছে। সাগর কলার দামও প্রায় কাছাকাছি, ৯০ থেকে ১০০ টাকা ডজন। দেশি কলার ডজন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

 

 

২নং গেট রেল লাইন এলাকায় ফল কিনতে আসা মনির যুগের চিন্তাকে বলেন,  বাজার করতে এসে অন্যান্য জিনিস কিনতেই টাকা সংকটে পড়তে হয় তার উপর রোজায় ফলের গায়ে হাত দেওয়া যায় না। আমাদের দৈনিক আয় বাড়ার খবর নাই কিন্তু জিনিসপত্রের দাম অনেক বাড়তি এমন ভাবে চলতে থাকলে আমাদের ফলতো বাদ ভাত না খেয়ে মরতে হবে।

 

 

ফল কিনতে আসা ফরিদা নামের একজন গৃহীনি বলেন, রোজার মাসে বাচ্চাদের জন্য হলেও সামান্য ফলের ব্যবস্থা করতে হয়। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। বর্তমান নিত্যপণ্যের দাম অনেক বাড়তি যার কারণে আমাদের স্বাচ্ছন্দ মতো চলা কঠিন। সংসারের সব খরচ মেটাতেই অনেক কষ্ট হয়।  এন.হুসেইন/জেসি